টিকা কার্ড সঙ্গে নিয়ে লকডাউনের মধ্যেই কেন্দ্রে যাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে- টিকা দিলে রোজা ভাঙবে না। বুধবার দুপুরে অনলাইনে প্রেস ব্রিফিং এসব কথা জানানো হয়। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, হাসপাতাল উধাওয়ের অভিযোগ সঠিক নয়। গণমাধ্যমে প্রচারিত এ সম্পর্কিত রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন তিনি। তার দাবি, এমন খবর স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে। ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, বর্তমান সময়ে কিছু কিছু গণমাধ্যম যেভাবে সমালোচনা করছেন, তা মনোবল ভেঙে দিচ্ছে। পৃথিবীতে এ ধরনের নজির নেই। তিনি আরও বলেন, ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে কেউ না। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি সমালোচনার সময় না এবং তাঁদের সমাজের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান। বসুন্ধরায় আইসোলেশন সেন্টার নিয়ে তিনি বলেন, যে পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি করা হয়েছিল, তা বিদ্যমান ছিল না। সেখানে যেসব চিকিৎসা সরঞ্জাম ছিল, তা সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেন্টারটি চালাতে মাসে ৬০ লাখের বেশি টাকা খরচ হতো। ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি রোগী থাকত না। হাজারের বেশি জনবল ছিল, যাদের পেছনেও খরচ ছিল। পরবর্তী পরিপ্রেক্ষিতে সেন্টারটির প্রয়োজন না থাকায় তা সরিয়ে দেওয়া হয়।
ডিএনসিসির মহাখালীর মার্কেটে করোনা হাসপাতাল নিয়ে সমালোচনার জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সেখানে আগামী সপ্তাহে ২০০ শয্যার আইসিইউ চালু হবে। এই হাসপাতালে মোট ১ হাজার ১৫০ শয্যার চিকিৎসাব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু এর বিনিময়ে আমরা কোনো অভিনন্দন পাইনি। এ ছাড়া জানান, গত দুই সপ্তাহে প্রায় ৩ হাজার ৬৩৮টি শয্যা তৈরি করা হয়েছে।
Leave a reply