চলমান করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে নতুন কেন্দ্রস্থল হয়ে ওঠা ভারতে মরদেহ সৎকারেও হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটির।
করোনার কারণে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রাণহানি। ফলে প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছে শ্মশান এবং চুল্লিগুলো। মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডসহ বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি মর্গগুলোর সামনে শত শত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
করোনার কারণে বেশিরভাগ লাশই গ্রহণ করেননি মৃতদের স্বজনেরা। ফলে লম্বা অপেক্ষার পর শেষকৃত্য সম্পন্ন করছে শ্মশানের কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন জেলায় গণদাহ’র ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে ভারতে দ্বিতীয় দিনের মতো দৈনিক সংক্রমণ ২ লাখ ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট করোনা শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪২ লাখের বেশি। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১১শ’র বেশি মানুষের। ফলে দেশটিতে মোট মৃত্যু ২ লাখ ১৬ লাখের বেশি। মৃত্যু ও সংক্রমণের হিসেবে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এরপরই অবস্থান দিল্লির। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহান্তে কারফিউ জারি করা হয়েছে দিল্লিতে। ফলে শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা জারি থাকবে কড়াকড়ি।
শুধুমাত্র খাবার এবং ওষুধের দোকান নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এছাড়া বাজার, অডিটোরিয়াম, জিম, শপিং মল এবং সিনেমা হল বন্ধ থাকবে। কড়াকড়ির জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন থাকবে নিরাপত্তা বাহিনী।
Leave a reply