চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছে। বেতনভাতার দাবিতে আন্দোলনের কথা বললেও, পরিকল্পিতভাবে শ্রমিক উস্কানির প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে পুলিশ।
কর্তৃপক্ষের দাবি, স্বার্থসিদ্ধির জন্য একটি চক্র অপতৎপরতা চালিয়েছে। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে তিন লাখ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার হঠাৎ করে বেতন ভাতার দাবিতে কিছু শ্রমিক ও বহিরাগতরা মিলে সকাল ১০টার দিকে বাঁশখালির গন্ডামারায় নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও করে। একপর্যায়ে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগসহ তাণ্ডব শুরু করলে সংঘর্ষ বাঁধে পুলিশের সাথে।
গুরুতর আহত অবস্থায় অন্তত ৩০ জনকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৫ জনকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক।
এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের চিফ কো-অর্ডিনেটর ফারুক আহমেদের অভিযোগ, সম্প্রতি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিক সরবরাহের কাজ গন্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লিয়াকত আলীকে না দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানকে দেয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সুকৌশলে শ্রমিকদের উসকে দিয়েছেন।
এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের পিএস টু চেয়ারম্যান আকিজ উদ্দিন অভিযোগ করেন, এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রের অংশ। স্থানীয় একটি দুষ্টচক্র নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য শ্রমিকদের অযথা উসকে দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ বারবার বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
পরিকল্পিতভাবে শ্রমিক উসকানি এবং সংঘাত সৃষ্টির নেপথ্যে জড়িতদের ব্যাপারে তথ্য মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে ৩ সদস্যের কমিটি। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমান এসব তথ্য জানান।
Leave a reply