টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা রুপা গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ৫ আসামির মধ্যে অন্যজনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ রায় দেন।
মামলার মাত্র ১৭২ দিনের মধ্যে শেষ হল এর বিচার কার্যক্রম।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) একেএম নাছিমুল আক্তার। তাকে সহায়তা করেন মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী এস আকবর খান, মানবাধিকারকর্মী এমএ করিম মিয়া ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আজাদ। আসামিপক্ষে আছেন শামীম চৌধুরী দয়াল ও দেলোয়ার হোসেন।
গত বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে রূপাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে আসামিরা। লাশ ফেলে দেয় পঁচিশ মাইল এলাকায়। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করে।
পরে ‘ছোঁয়া পরিবহনের’ চালক হাবিবুর, সুপারভাইজার সফর আলী, হেলপার শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করা হয়। ৫ জনই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
গত ৩ জানুয়ারি বাদির সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যদিয়ে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। চিকিৎসকসহ ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয় ২৩ জানুয়ারি। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ৫ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল মনসুর রায়ের দিন ধার্য করেন।
Leave a reply