কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশতাধিক স্পটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। একাধিক বালু ব্যবসায়ী প্রকাশ্যে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালু উত্তোলন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোক দেখানো বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে অনিয়মিত অভিযান চললেও প্রভাবশালী একাধিক সিন্ডিকেট প্রকাশ্যে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের যোতিন্দ্র নারায়ণ এলাকার গুয়াবাড়ী ঘাটে নবনির্মিত সেতুর মাত্র দুই’শ গজ দুরে বারোমাসিয়া নদী থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু তোলা হচ্ছে। ফলে ঝুঁকির মুখে পড়েছে সেতুটি। আর অবৈধভাবে উত্তোলন করা এসব বালু পুকুর ভরাট, বসতবাড়ি উঁচুকরণসহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তাছাড়া উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোরকমন্ডল, চর গোরকমন্ডল, কৃষ্ণানন্দ বকসি, পশ্চিম ফুলমতি কলাবাগান, শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের চর শিমুলবাড়ী, সোনাইকাজী, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কুটি চন্দ্রখানা, শাহবাজার, বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার কালিরহাট, টনকার মোড়, কামালপুর, বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোগারকুটি, পূর্ব ধনিরাম, পশ্চিম ধনিরাম ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের বোয়ালভীড়, রাম রাম সেন, উত্তর রাবাইতাড়ী এবং কাশিপুর ইউনিয়নের কলেজ মোড়, অনন্তপুর, মধ্য অনন্তপুর, অনন্তপুর বালাবাড়ী, ঘুঘুরহাট, বেড়াকুটি এলাকায় প্রায় অর্ধ শতাধিক অবৈধ ড্রেজার মেশিনে দিনরাত ভূ-গর্ভস্থ বালু উত্তোলন চলছে। আর অবৈধভাবে উত্তোলন করা এসব বালু দেদারছে বিক্রি করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন বালু ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক মিলন জানান, ভূমিকম্প প্রবণ
রংপুর বিভাগের সীমান্তবর্তী এ উপজেলায় অধিক হারে ভূ-গর্ভস্থ বালু উত্তোলনের কারণে মাটির নিচে বালুর স্তর শূন্য হয়ে যাচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া নিয়ম মাফিক ভূ-গর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলন করার কারণে বছরের সব সময় নদী ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুর রহমান জানান, বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আজকেও অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে।
ইউএইচ/
Leave a reply