রোববার উদ্বোধন হওয়া মহাখালীর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চলছে রোগী ভর্তি কার্যক্রম। সকাল ৮টায় কার্যক্রম শুরুর পর এরইমধ্যে ২০ জনের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরইমধ্যে ১৫০ জন চিকিৎসক হাসপাতালে যোগদান করেছেন, নার্স যোগদান করেছেন ২০০ জন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী যোগদান করেছেন ৩০০ জনের মতো। এছাড়া এই হাসপাতালে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর প্রায় ১৫০ জন চিকিৎসক ও বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ কর্মীরা সহযোগিতা করছে।
কিছুক্ষণ পরপরই হাসপাতালে আসছে করোনা রোগী। আবার অনেক রোগীর স্বজনরা আসছেন ভর্তির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে। যেসব রোগী ভর্তি হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এসেছেন।
অবশ্য হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, যারা কোনো হাসপাতালে সিট পাচ্ছেন না তাদেরকেই অগ্রাধিকার দেয়া হবে। অন্য হাসপাতালে যারা চিকিৎসা পাচ্ছেন তাদের আপাতত এখানে না আসার আহ্বান জানান তিনি।
পরিচালক জানান, হাসপাতালে এখন ৫০টি আইসিইউ বেড’সহ সর্বমোট ৩০০ রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার সক্ষমতা আছে। বর্তমানে চিকিৎসক-নার্স’সহ ৭৫০ জন স্টাফ কাজ করছেন মহাখালীর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে। ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন আইসিইউ ও এইচডিইউ বেডের সংখ্যা বাড়বে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মহাখালী কাঁচাবাজারের ছয় তলা বিশিষ্ট এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা ভবনে এই হাসপাতাল চালু হলো। এতদিন মার্কেটটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন করোনা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হলেও পৃথকভাবে ওই সেবা কার্যক্রমগুলো চলবে।
Leave a reply