বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার সারাদেশে আরও এক সপ্তাহ ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ বাড়ানোর সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার তিনি বলেন, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলেরও চিন্তা ভাবনা করছে।
এদিকে, করোনার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেয়া শেষে লকডাউন নিয়ে কথা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকও। তিনি বলেন, সরকার লকডাউন করতে চায় না। কিন্তু পরিস্থিতি ভালো না। সেকারণে বাড়াতে হতে পারে।
এর আগে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এরপর সপ্তাহ শেষে আবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও বলেছে কমিটি।
এতে আরও বলা হয়, বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না। দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে, বেসরকারি দফতর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ী চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে।
নমুনা সংগ্রহের জন্য শহরে প্রতি ওয়ার্ডে বুথ স্থাপন ও দ্রুত ফলাফল দেয়ার জন্য র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। এছাড়া, সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্য নমুনা পরীক্ষা ও বেসরকারি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মূল্য পুনর্নির্ধারণের সুপারিশও করেছে কমিটি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউন চলছে। ২১ এপ্রিল তা শেষ হওয়ার কথা। তার আগেই কমিটি এই পরামর্শ দিল।
Leave a reply