কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। ভৈরব বন্দরে প্রতিদিন হাজার হাজার মন নতুন ধান আমদানি হচ্ছে। প্রতি মণ ধানের দাম কমেছে ৬০০ টাকা।
ভৈরব বাজারে আজ মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) প্রতি মন চিকন ধান বিক্রি হয়েছে ৮০০/৮২০ টাকা এবং মোটা ধান ৬২০/৬৫০ টাকা। অথচ গত ১৫/২০ আগে ভৈরব বাজারে চিকন ধান বিক্রি হয়েছে ১৪০০ টাকা এবং মোটা ধান ১১৫০ টাকা। লকডাউনেও হাওরে ধান নদীপথে প্রতিদিন ট্রলারে ভৈরব বাজারে আমদানী হচ্ছে। আমদানীকৃত ধান ক্রেতারা রাইস মিলগুলোতে নিয়ে যাচ্ছে। ধানের অভাবে গত তিন মাস ধরে অধিকাংশ রাইস মিল বন্ধ ছিলো। নতুন ধান আমদানি হওয়ার কারণে রাইস মিলগুলো পুনরায় চালু হয়েছে। কিশোরগঞ্জের কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার কিশোরগঞ্জ জেলায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। কিশোরগঞ্জ ছাড়াও নেত্রকোণা, হবিগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলার ৩০টি উপজেলা এলাকার হাওরের ধান ভৈরব বাজারে আমদানি হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানায়। ভৈরবের প্রায় ৩০টি আরতে নতুন ধান আমদানি হচ্ছে। এসব ধান মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম, চাঁদপুর, আশুগঞ্জসহ ভৈরবের আশেপাশের উপজেলার রাইস মিলগুলোতে পাইকাররা ধান নিয়ে যাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের ইটনা থেকে আসা কৃষক মোঃ আলী জানান, আমি তিনশত মণ নতুন ধান নিয়ে ভৈরব বাজারে এসেছি। প্রতিমন চিকন ধান ৮৪০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থেকে আসা কৃষক রহমত আলী জানান আমি দুইশ মন মোটা ধান ভৈরবে আমদানি করে সাড়ে ৬শ টাকা দরে বিক্রি করেছি। ধানের বাজার এমন থাকলে কৃষকরা খুশি।
ভৈরব চেম্বারের সভাপতি আলহাজ্ব মো. হুমায়ূন কবির জানান, ভৈরব বাজার প্রতিদিন হাজার হাজার মণ নতুন ধান আমদানি হচ্ছে। বর্তমানে নতুন ধান আমদানির সাথে সাথে প্রতি মণে ৬০০ টাকা কমে গেছে। ধানের দাম কমার কারনে চালের দামও কমে যাবে।
কিশোরগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল আলম জানান এই জেলায় উৎপাদিত ধানে এবার ৭ লাখ ১১ হাজার ৫৮০ মন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।
Leave a reply