স্টাফ রিপোর্টার:
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এক যুবককে (২৮) অপহরণ করে তার ‘লিঙ্গ কর্তন’ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে।
বুধবার ভুক্তভোগীর বড় ভাই এ ঘটনায় ওই নারী (২৫) ও তার পিতা এবং দুই ভাইসহ অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানায় যায়, ভুক্তভোগী মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ করতেন। ওই নারী তার কাছে মোবাইল ঠিক করাতে আসার সূত্রে পরিচয়। প্রায় সময় ভুক্তভোগীকে ওই নারী নানান প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করার প্রস্তাব দিত। এতে ভুক্তভোগী রাজি না হলে পরে বিভিন্ন সময়ে ওই নারী ভুক্তভোগীর বন্ধুদের কাছে নালিশ করে ও দেখে নেয়ার হুমকিও দিত।
এক পর্যায়ে প্রায় ১ বছর ওই নারীর মোবাইল ফোন ধরা থেকে বিরত থাকে ভুক্তভোগী। পরে গত দুই সপ্তাহ আগে ওই যুবক অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন।
অভিযোগে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার নলুয়াপাড়া চায়না মোড় ব্রিজের ওপর থেকে ওই নারী ও তার বাবা, দুই ভাই এবং অজ্ঞাত চারজন ভুক্তভোগীকে ধরে গামছা দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে অটোরিকশা করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে ছুরি বের করে অন্যান্য অভিযুক্তদের সহায়তায় ভুক্তভোগীর লিঙ্গ কেটে দেয় ওই নারী।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে তার জ্ঞান ফিরলে তার সাথে থাকা মোবাইলে ঘটনাটি পরিবারের লোকজনকে জানায়। এরপর পরিবারের লোকজন চন্দ্রকোনার ব্রিজ সংলগ্ন বালুচর থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে।
প্রথমে তাকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
দুর্গাপুর থানার ওসি মো. শাহনুর-এ আলম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আসামিদের ধরতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Leave a reply