নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা দুইদিন আগে শান্তির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার তার এক অনুসারীকে গ্রেফতারের পর শান্তির প্রস্তাব থেকে সরে এসে সশস্ত্র হওয়ার হুমকি দিয়েছেন কাদের মির্জা।
বৃহস্পতিবার বিকালে বসুরহাট পৌরসভা চত্বর থেকে তার অনুসারী রাজু খানকে গ্রেফতারের পর পর ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘আমি ছেড়ে দিবো না। আমার ছেলেকে এইভাবে আহত করার পর তারা বাড়িতে কীভাবে বসে বসে মিটিং করে? দিনরাত তারা সেখানে আড্ডা দেয়, প্রত্যেকটা ছেলের হাতে অস্ত্র। অস্ত্র নিয়ে তারা থানায় যায়, অস্ত্র নিয়ে ওসির সামনে বসে থাকে। এই অবস্থা এখানে চলছে। এই অবস্থা যদি চলতে দেয়, আমরা বসে থাকবো না। আমরাও সশস্ত্র হব।’
কাদের মির্জা বলেন, আমি আমার কর্মীদেরকে বলবো, আমি শান্তির প্রস্তাব দিয়েছি। আমি আরও একদিন দেখবো, আজকের দিন দেখার পর তোমাদেরকে আগামী দিন (শুক্রবার) সিদ্ধান্ত দেব, সে সিদ্ধান্তের আলোকে রাজপথে আমিও থাকবো, আমি দেখবো পুলিশ প্রশাসন কী জিনিস, প্রয়োজনে জেলে যাবো, জীবন উৎসর্গ করবো, আমি আর ছেড়ে দেবো না।
কাদের মির্জা আরও বলেন, আমি গত পরশু সেহেরির সময় কোম্পানীগঞ্জে শান্তির জন্য ১১ দফায় একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। করোনা থেকে কোম্পানীগঞ্জের মানুষকে রক্ষা করার জন্য একটি পদক্ষেপ আমি নিয়েছি, সেটিও আপনারা শুনেছেন। কিন্তু আজকে আমার সে প্রস্তাবে এখানকার প্রশাসন, এমপি একরাম-নিজামের লেলিয়ে দেয়া অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সাড়া না দিয়ে এখানে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বাড়িতে-বাড়িতে গিয়ে আমার ছেলেদেরকে গ্রেফতার করছে।
তিনি বলেন, আমার এখানে (বসুরহাট পৌরসভায়) কেউ উঠতে নামতে পারে না। এখানে অবরুদ্ধ করে রেখেছে, ইফতার পর্যন্ত করতে পারে না, সেহেরি খেতে পারে না। একদিন সেহেরি ও ইফতার না খেয়ে রোজা রেখেছে এবং রোজা ভেঙেছে। এখানে এ পরিস্থিতিতে আমাকে রেখেছে। এ অবস্থায় কিছুক্ষণ আগে রাজু নামে আমার একটি ছেলেকে পুলিশ পৌরসভার ক্যাম্পাস থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে।
মেয়র কাদের মির্জা বলেন, তাদের কত বড় সাহস পৌরসভা জেলা নিয়ন্ত্রণ করে না, এটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে। আমার পৌরসভা থেকে আমার ছেলেকে (অনুসারী রাজু) নিয়ে পুলিশ অমানুষিক নির্যাতন করেছে। গত তিনদিনে আমাদের প্রায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। আমাদের সিরাজপুরের সাধারণ সম্পাদক মিকনকে গ্রেফতার করেছে। আমি দেখার জন্য থানায় গেলে শামীম (অ্যাডিশনাল এসপি) এবং ওসি আমার গায়ের ওপর হাত দিয়েছে। আমি প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে বলেও কোনো প্রতিকার পাইনি।
ইউএইচ/
Leave a reply