প্রিয় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভের খবরে আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন ভালোবাসার টানে ৫৮ বছর ধরে এদেশে থেকে যাওয়া ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্ট। যমুনা টেলিভিশনের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে লুসি বলেন, কী বলবো, এটা ছিল আমার কাছে স্বপ্নের মতো। আমি গৌরবান্বিত।
উচ্ছ্বসিত লুসি জানান, অনেক মানুষই আমার জন্য চেষ্টা করেছেন, অবদান রেখেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমি কী বলবো, এটা এমন একটা অনুভূতি যে…আমি খুব আনন্দিত।
সোমবার সকালে লুসির নাগরিকত্বের পাওয়ার খবরে বরিশালের অক্সফোর্ড মিশনে অভূতপূর্ব দৃশ্যে অবতারণা হয়। উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসীর মধ্যেও। ফুল দিয়ে লুসিকে অভিনন্দন জানান অনেকেই। বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান লুসিকে। বলেন, এদেশের মানুষের প্রতি লুসির অকৃত্রিম ভালোবাসা জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশে লুসিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
১৯৩০ সালের ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সেন্ট হ্যালেন্সে জন্মগ্রহণ করেন লুসি হল্টা। লুসির বাবা জন হল্ট ও মা ফ্রান্সিস হল্ট। ১৯৪৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন লুসি। অক্সফোর্ড মিশনের একজন কর্মী হিসেবে ১৯৬০ সালে বাংলাদেশে আসেন তিনি। নিয়োজিত হন মানবতার সেবায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাহতদের সেবা করেছেন জীবনের মায়া ত্যাগ করে। দেশ স্বাধীনের পরও তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি। মায়ার বন্ধনে থেকে গেছেন।
বরিশাল অক্সফোর্ড মিশন চার্চে বসবাস করে দুস্থ শিশুদের মানসিক বিকাশ ও ইংরেজি শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি শিশুদের কল্যাণ ও সেবার জন্য তহবিলও সংগ্রহ করছেন। লুসির ইচ্ছা মৃত্যুর পর যেন তাকে বরিশালের মাটিতেই সমাধিস্থ করা। এজন্য স্থান নির্ধারণও করেছেন লুসি। নাগরিকত্বের লাভের পর লুসির ইচ্ছা পূরণে আর কোনো বাধা রইলো না।
https://www.facebook.com/JamunaTelevision/videos/1587119874717201/
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply