নিখোঁজের তিনদিন পর পাওয়া গেছে ইন্দোনেশিয়ার সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ। দেশটির নৌবাহিনী বলছে, গভীর সাগরে ডুবে গেছে ‘কেআরআই- নাংগাল ফোর জিরো টু’ সাবমেরিনটি।
অক্সিজেনের মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ৫৩ নাবিকের কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। শনিবার সকালের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ডুবোজাহাজটিতে থাকা অক্সিজেন। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নৌবাহিনীর সাবমেরিনটি ডুবে গেছে বলে ঘোষণা করেছে সে দেশের সামরিক বাহিনী।
বুধবার বালি দ্বীপের কাছে টর্পেডো মহড়ার সময় নিখোঁজ হয় ৪৪ বছর পুরানো সাবমেরিনটি। সমুদ্রে দুই হাজার ফুট গভীরে চলাচলের সক্ষমতা ছিল এটির।
জানা যায়, উদ্ধারকর্মীরা একাধিক বস্তু পেয়েছেন। একটি স্ক্যানারে ধরা পড়েছে সাবমেরিনটি ৮৫০ মিটারে গভীরে রয়েছে। যা মানুষের বেঁচে থাকার গভীরতা সীমার চেয়ে বেশি। এটি ৫০০ মিটার গভীর পর্যন্ত চলাচলের জন্য নির্মিত।
ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্রের যতো গভীরে সাবমেরিনটি চলাচল করতে পারতো তার চেয়েও সাড়ে আটশো মিটার নিচে এটি তলিয়ে গেছে। জাহাজটির সন্ধানে যারা উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করছিল তারা ওই জাহাজের কিছু জিনিসপত্র পেয়েছে এবং তা থেকেই ধারণা করা হচ্ছে যে সাবমেরিনটি ডুবে গেছে।
যেসব জিনিস পাওয়া গেছে তার মধ্যে রয়েছে জায়নামাজ, গ্রিজের একটি বোতল যা লুব্রিক্যান্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়, একটি যন্ত্র যা টর্পোডের হাত থেকে জাহাজটিকে রক্ষায় সাহায্য করে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন
Leave a reply