বেনাপোল প্রতিনিধি:
ভারতে অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়ায় করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত জরুরি তরল অক্সিজেনের আমদানি বন্ধ রয়েছে। গত ৪ দিনে কোনো অক্সিজেনবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। তবে গত ২২ এপ্রিল একটি অক্সিজেনবাহী ট্যাংকার খালাস হয় বেনাপোল বন্দর থেকে।
গত এক সপ্তাহে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৮১৫ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। যার আমদানি মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ১৬৫ মার্কিন ডলার। ২৯ টি ট্যাংকারে এই তরল অক্সিজেন বাংলাদেশে আমদানি হয়। বাংলাদেশের আমদানিকারক লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি করে থাকে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, দেশের চিকিৎসাখাতে অক্সিজেনের চাহিদার বড় একটি অংশ আমদানি হয় ভারত থেকে। প্রতি মাসে শুধু বেনাপোল বন্দর দিয়েই প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি হয়ে় থাকে। করোনায় আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে সম্প্রতি এ অক্সিজেনের চাহিদা আরও বেড়ে যায়।
হঠাৎ করে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যেমন ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছেন, তেমনি দেশের চিকিৎসা খাতও বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়ে গেলো।
অক্সিজেন পরিবহনকারী বাংলাদেশি ট্রাক চালকেরা জানান, গত চার দিন ধরে বেনাপোল বন্দরে ট্রাক নিয়ে় তারা দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু ভারত থেকে কোনো অক্সিজেন বন্দরে প্রবেশ করেনি।
ভারতীয় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বিশ্বজিত দাস জানান,ভারত থেকে সাময়িকভাবে অক্সিজেন রফতানি বন্ধ রয়েছে। ভারতে ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা ভেবে বাংলাদেশে অক্সিজেন রফতানি সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
অক্সিজেন আমদানিকারকের প্রতিনিধি ও ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, ভারতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ চলছে ভয়াবহভাবে। আক্রান্ত ও মৃত্যের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে ব্যাপকহারে। কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ভারত আপাতত অক্সিজেন রফতানি বন্ধ রেখেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সোহার্দ্য সম্প্রতি ও বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে তরল অক্সিজেন দেবে আশা রাখি। তবে লিনডে বাংলাদেশ বিকল্প হিসেবে সিঙ্গাপুর থেকে অক্সিজেন আমদানির পরিকল্পনা করছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৮১৫ মে. টন অক্সিজেন লিনডে বাংলাদেশ আমদানি করে। গত বৃহস্পতিবার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি বন্ধ রয়েছে।
Leave a reply