সাগরের তলদেশে তিন টুকরা হয়ে পড়ে আছে ইন্দোনেশিয়ার দুর্ঘটনাকবলিত সাবমেরিনটি। প্রায় ৩ হাজার ফুট গভীরে মিলেছে এর ধ্বংসাবশেষ।
তবে সাবমেরিনটি কেনো ডুবে গেলো, সেই কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। জাকার্তার দাবি, যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি ছিলো না জার্মানির তৈরি ডুবোজাহাজটির।
পর্যটনের জন্য বিখ্যাত বালি দ্বীপের কাছে কয়েকদিন ধরেই চলছিলো সাঁড়াশি অভিযান। শনিবারই নিশ্চিত হয়ে যায় ৫৩ আরোহীর কেউ আর বেঁচে নেই। রোববার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় জাকার্তা।
জার্মানির তৈরি সাবমেরিনটির সর্বোচ্চ ৭০০ ফুট গভীরে ডুব দেয়ার ক্ষমতা ছিলো। কিন্তু এর ধ্বংসাবশেষ মিলেছে ২ হাজার ৭৫০ ফুট গভীরে। রোবটের তোলা ছবিতে দেখা যায় প্রচণ্ড চাপে সাগরের তলদেশে তিন টুকরা হয়ে গেছে ডুবোজাহাজটি। এরইমধ্যে ক্রুদের জায়নামাজসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। তবে কী কারণে এতো গভীরে চলে গেলো সাবমেরিনটি তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই কারও কাছে।
ধারণা করা হচ্ছে দুর্ঘটনার পর নিয়ন্ত্রণ হারায় জাহাজটি। তবে জাকার্তা বলছে, যান্ত্রিকভাবে পুরো ফিট ছিলো সাবমেরিনটি। প্রায় ৬০ মিটার দীর্ঘ ডিজেল চালিত সাবমেরিনটির ওজন ছিলো ১৪শ’ টন। ৪০ বছর আগে জার্মানিতে তৈরি ডুবোজাহাজটি মেরামত করা হয় ২০১২ সালে।
Leave a reply