প্রতিবছর জাকাতের টাকায় হতদরিদ্রদের স্বাবলম্বী করে ‘বাউনবাইরার কতা’

|

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাজিপাড়ার ১৭-১৮ বছরের তরুণ শুভ। তার বাবা মারা গেছেন তিন বছর আগে। একমাত্র ভাইটিও মারা গেছেন। এখন মা ও ছোট এক বোনের দায়িত্ব তার কাঁধে। তাদের নিজেদের কোনো বাড়িঘর নেই। কাজিপাড়ায় সাহাপাড়ায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। হকার্স মার্কেটের একটি দোকানে মাসিক সাড়ে চার হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন। সেই চাকরিতেও বেশি দিন থাকতে পারেননি। পরে বাধ্য হয়ে ফুটপাতে এক ফল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কর্মচারী হিসেবে থাকা শুরু করেন শুভ।

শুভ ও তার পরিবারের কথা জানতে পারে ফেসবুকভিত্তিক পেজ ‘বাউনবাইরার কতা’র সদস্যরা। তারা উদ্যোগ নেন শুভকে একটি ভ্যানগাড়ি ও ফলের ব্যবসা করতে সহযোগিতা করবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে শুভ ও তার মায়ের হাতে ভ্যানগাড়ি ও ফলের ব্যবসা করতে ১০ হাজার টাকা পুঁজি তুলে দেন ‘বাউনবাইরার কতা’র সদস্যরা।

বাউনবাইরার কতার অ্যাডমিন ডা. মাহবুবুর রহমান এমিল বলেন, প্রতিবছর রোজায় আমরা অসচ্ছল ও দরিদ্র পরিবারগুলোকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নিয়ে থাকি। এ নিয়ে চার বছর বাউনবাইরার কতা প্রজেক্ট অসহায়দের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ বছর আমরা ২৫টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা ফল বিক্রি করার পুঁজিসহ ভ্যান দিয়েছি দুটি, একটি চা-পান বিক্রির টং, একজনকে মুদির দোকান, দুই পরিবারকে গাভী, তিন পরিবারকে ৯টি ছাগল, একজনকে মোবাইল ব্যবসার সামগ্রী, ১০টি সেলাই মেশিন, এক হতদরিদ্র পরিবারকে বাথরুম ও টিউবওয়েল বসিয়ে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, বাউনবাইরার কতার ফেসবুক গ্রুপে এক লাখেরও বেশি সদস্য রয়েছেন। প্রতিবছর রোজায় বেশিরভাগ জাকাতের অর্থ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেন গ্রুপের সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আমরা তাদের দেয়া অর্থ সঠিক ও স্বচ্ছভাবে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগিয়েছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, বাউনবাইরার কতার অ্যাডমিন ডা. মাহবুবুর রহমান এমিল, সাংবাদিক আবুল হাসনাত মো. রাফি, আজিজুল আলম সঞ্চয়, মডারেটর মো. আরিফুল ইসলাম, আমিরুল সরকার, মুজিবুর রহমান, আরিফুল ইসলাম মোল্লা ও গোলাম কায়সার কিবরিয়া ভূইয়া।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply