ভৈরবে পুলিশ প্রহরায় ধান কাটলো সেই গ্রামের কৃষকরা

|

ভৈরব প্রতিনিধি:

ভৈরবে পুলিশ প্রহরায় ধান কাটলো সেই দুই গ্রামের কৃষকরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ১২/১৫ হেক্টর জমির বোরো ধান পুলিশের উপস্থিতে কৃষকরা কাটার পর এসব ধান তাদের ঘরে তুলেছে।

গত ১৭ এপ্রিল উপজেলার খলাপাড়া ও লুন্দিয়া গ্রামে ধান মাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন খুন হয় এবং আহত হয় ৬০/৭০ জন। এদিন প্রায় শতাধিক বাড়িঘর লুটপাট ভাঙচুর হয়। তারপর উভয়পক্ষের ৫টি মামলা হয় ভৈরব থানায়। এসব মামলায় আসামি করা হয় প্রায় ৭০০ শ’।

মামলা করার পর দুই গ্রামের মানুষ পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এই এলাকায় এবার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। বর্তমানে জমিতে অধিকাংশ ধান পেকে গেছে। গ্রামে খুন হওয়াই মামলার কারণে গ্রামগুলি এখন পুরুষ শূন্য অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে পাকা ধান কাটা অনিশ্চয়তার মধ্য পড়ে যায়। এরপর পুলিশ এলাকায় মাইকিং করে বলে মামলার আসামি ছাড়া কোনো নিরীহ মানুষকে পুলিশ গ্রেফতার বা হয়রানি করবে না। যাদের জমির ধান পেকেছে তারা যেন ধান কেটে ফেলে। প্রয়োজনে পুলিশ কৃষকদেরকে নিরাপত্তা দিবে। এরই প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার পুলিশের উপস্থিতিতে প্রায় ১৫ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, এখন থেকে প্রতিদিন পাকা ধান কাটা অব্যাহত থাকবে। উপজেলা কৃষি অফিসার আকলিমা বেগম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে কৃষি বিভাগ পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে আজ ধান কাটার ব্যবস্থা করে। তিনি বলেন, আমি নিজে তদারকি করে আজ প্রায় ১৫ হেক্টর জমির পাকা ধান কাটার ব্যবস্থা করেছি।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিন জানান, যারা মামলার আসামি নয় তাদের কোনো ভয় নেই। কৃষি বিভাগের অনুরোধে আজ পুলিশের উপস্থিতিতে কৃষকরা নির্বিঘ্নে নিরাপদে ধান কেটেছে। যতদিন জমিতে পাকা ধান থাকবে ততদিন পুলিশ উপস্থিত থেকে ধান কাটতে সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply