হেরে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন মমতা?

|

মমতা বন্দোপাধ্যায়।

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে উত্তাপের কমতি ছিল না। সবশেষ রঙ্গমঞ্চ জমে উঠে নন্দীগ্রামকে ঘিরে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাথে রুদ্ধশ্বাস লড়াই দল বদল করে বিজেপির টিকিট কাটা শুভেন্দু অধিকারীর। প্রাথমিকভাবে তৃণমূল নেত্রী জিতেছেন বলে খবর ছড়ালেও, গণনা শেষে দেখা যায় জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতাকে দেড় হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না মমতা? এ বিষয়ে কী বলছে ভারতীয় সংবিধান?

ভারতের সংবিধান বলছে, দেশের কোনও রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার জন্য এই যোগ্যতাগুলি প্রয়োজন-

  • ভারতের নাগরিক হতে হবে।
  • রাজ্য বিধানসভার সদস্য হতে হবে তাকে। আর বিধান পরিষদের সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও কেউ যদি মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন, তবে তাকে রাজ্যপালের সই নিতে হবে।
  • ২৫ বা তার বেশি বয়স হতে হবে।
  • কেউ হেরে যাওয়া সত্ত্বেও তার দল যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং দলের নতুন বিধায়করা তাকে নেতা বা নেত্রী নির্বাচিত করেন, তাহলে তার মুখ্যমন্ত্রী হতে কোনও আইনি অসুবিধা নেই।  
  • ভোটে না জিতেও মুখ্যমন্ত্রী হলে তাকে ওই পদে বসার দিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ভোটে জিতে আসতে হবে। তারপর ৫ বছরের জন্য অনায়াসে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে পারেন।

প্রসঙ্গত, ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাকাঠামোর পরিবর্তন আনেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সময় তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। ২০১১-র ভোটে নিজে লড়েননি। তবে তার দল ঐতিহাসিক জয়লাভের পর তাকে নেত্রী নির্বাচিত করে। এরপর লোকসভা থেকে পদত্যাগ করেন মমতা। ভবানীপুরে সুব্রত বক্সির জেতা আসনে উপ নির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হন। তারপর ২০১৬ সাল পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী হন। ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো মমতার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথে সে অর্থে কোনো বাধা নেই।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply