করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে লকডাউন। অথচ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে চলাচল করে স্পিডবোট। ব্যস্ত এই নৌপথে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে এসব স্পিডবোট।
বিআইডব্লিউটিএ, নৌপুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্বরতরা ঘাটে থাকার পরও কীভাবে স্পিডবোটগুলো চলাচল করে সেই প্রশ্নই সামনে আসছে ঘুরেফিরে। স্থানীয়রা বলছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই লকডাউনেও চলাচল করে এসব নৌযান।
ব্যস্ত এই নৌপথে চলাচলকারী স্পিডবোটগুলোর নেই কোনো নিবন্ধন। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এগুলো চলাচল করে। চালকদেরও নেই লাইসেন্স কিংবা প্রশিক্ষণ। এসব নৌযান মাঝেমধ্যেই পড়ে দুর্ঘটনায়।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি বাংলাবাজার ঘাটের বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা। আর স্থানীয় প্রশাসন দুষছে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় দায়িত্বরতদেরকে।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের এপারের স্পিডবোটগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ওপারের স্পিডবোটগুলো কিন্তু আসলে নিয়ন্ত্রণে ছিলো না। যার প্রেক্ষিতে যাত্রী নিয়ে তারা এপারে এসে বিভিন্ন চরে যাত্রীদেরকে নামিয়ে দিতো। এগুলো বন্ধ করাটাও অনেক কঠিন।
অন্যদিকে মাওয়া নৌপুলিশের দাবি, শিমুলিয়া ঘাট থেকে কোনো স্পিডবোট ছেড়ে যায় না। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আশেপাশের চর থেকে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু নৌযান চলাচল করে।
গতকাল(৩ মে) শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে পুরাতন কাঁঠালবাড়ি ঘাটের কাছে নোঙর করে রাখা অনুমোদনহীন বাল্কহেডে স্পিডবোটের ধাক্কায় প্রাণ যায় ২৬ জনের।
Leave a reply