আলাদা ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেয়ার সুযোগ আছে কী? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? না, এরকম কোন সুযোগই নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন জেনে নেয়া যাক তাদের ব্যাখ্যা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিলে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে একই ভ্যাকসিনের। তবে দুই ডোজ সম্পন্ন না হলেও করোনা প্রতিরোধে কিছুটা কাজ হবে। প্রথম ডোজ নেয়া ১৫ লাখের দ্বিতীয় ডোজ এখনও অনিশ্চিত।
এদিকে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার অপেক্ষায় আছেন প্রায় ২৭ লাখ মানুষ। কিন্তু হাতে আছে প্রায় ১৪ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন। তারওপর সিস্টেম লস বাদ দিলে ঘাটতি পড়বে আরও কয়েক লাখ ভ্যাকসিন।
অন্যদিকে ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আপাতত মিলছেনা কোভিশিল্ড। তাই ১৫ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ভারতের যে অবস্থা তাতে জুলাইয়ের আগে সেখান থেকে টিকা পাওয়া যাবে না। জুলাইয়ের পরেও পাওয়া যাবে কিনা সেটাও নিশ্চিত না। আসলে মহামারি পরিস্থিতিতে কিছুটা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
শেষ পর্যন্ত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পাওয়া না গেলে পথ খুলতে যাচ্ছে চীন ও রাশিয়ার। কোভিশিল্ডের সাথে প্রযুক্তিগত মিল আছে স্পুটনিক ভি’র। অনেকের প্রশ্ন, যারা অক্সফোর্ডের প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারা কি অন্য ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন?
ভাইরোলজিষ্ট ড. জাহিদুর রহমান বলেন, প্রযুক্তির মিল যতই থাকুক তারপরও দ্বিতীয় ডোজ অন্য টিকা দেয়া যাবে না। প্রথম ডোজ যে টিকা দেয়া হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ সেই টিকাই দিতে হবে। এবিষয়ে একটামাত্র গবেষণা হচ্ছে তাও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।
জাতীয় টিকাদান পরামর্শক গ্রুপ এর সদস্য ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, যারা প্রথম ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকাই নিতে হবে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়নি যাতে বলা যায় প্রথম এক টিকা এবং দ্বিতীয় ডোজ আরেক টিকা দেয়া যাবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বিতীয় ডোজ না মিললেও হতাশার কিছু নেই। কর্মক্ষমতা কম হলেও কাজ করবে প্রথম ডোজ’ই। রক্ষা পাওয়া যাবে ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে।
Leave a reply