ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়াই ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ভেজাল ও নিম্নমানের লাচ্ছা সেমাই কারখানা। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এসব কারখানায় তৈরি করা হচ্ছে ক্ষতিকর রং মেশানো লাচ্ছা সেমাই।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিসিক শিল্প নগরী, জগন্নাথপুর, নারগুণ, সালান্দর, গড়েয়াসহ জেলার বালিয়াডাঙ্গী, রাণীশংকৈল, পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে এসব কারখানা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শ্রমিকরা হ্যান্ডগ্লাভস ব্যবহার না করেই খালি হাতে কাজ করছে। ভোক্তাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে লাচ্ছা সেমাইয়ে মেশানো হচ্ছে বিভিন্ন রং। ঘিয়ের পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে নিম্নমানের ডালডা। চিকিৎসকরা বলেন, এসব ডালডা ও রং মানুষের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যা মানুষের পেটে গেলে ক্যান্সারের মতো ভয়ানক রোগও হতে পারে।
ঈদের বাজারে এসব লাচ্ছা সেমাইয়ের বেশ চাহিদা থাকায় অস্থায়ী প্রতিটি কারখানায় দৈনিক গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ খাঁচি (প্রতি খাঁচিতে ১৮ কেজি) সেমাই উৎপাদন হচ্ছে। উৎপাদিত এসব লাচ্ছা সেমাই চলে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি দোকানে। সেখানে থেকে ছোট ছোট দোকানি ও ভোক্তারা এসব কিনছেন।
সাধারণ ভোক্তাদের অভিযোগ, বাজারে ভালো মন্দ যাচাইয়ের কোনো ব্যাবস্থা নেই, তাই বাধ্য হয়েই এসব কিনছেন তারা। এতে করে বেশিরভাগ সময়ই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। ভেজাল বন্ধে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। জেলা প্রশাসক বলছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
তবে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, এসব অবৈধ কারখানা বন্ধে প্রশাসন দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
Leave a reply