তীব্র খরায় চরম পানির সংকটে পাকিস্তানের করাচিবাসী। মিটছে না চাহিদার অর্ধেকও। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও মিলছে না এক ফোটা খাওয়ার পানি। এমনকি টাকা দিয়েও পানি পাচ্ছেন না অনেকে। রীতিমত হাহাকার দেখা দিয়েছে।
ঘণ্টা বাজিয়ে এলাকাবাসীকে দেয়া হচ্ছে পানি। তাই খাবার ও ব্যবহারের পানি সংগ্রহ করতে দূরদূরান্ত থেকে ড্রাম-বালতি নিয়ে পাম্পের সামনে হাজির নারী-পুরুষসহ নানা বয়সী মানুষ। মুহূর্তেই দীর্ঘ হচ্ছে লাইন। খাবার পানির জন্য এই হাহাকার খোদ পাকিস্তানের বাণিজ্যিক শহর করাচিতে।
বছরের এই সময়টাতে তীব্র পানির সংকট তৈরি হয় গোটা অঞ্চলে। করাচিতে বসবাসরত প্রায় ২ কোটি বাসিন্দার গড়ে দৈনিক প্রয়োজন ১২০ কোটি গ্যালন পানি। কিন্তু মিলছে না চাহিদার অর্ধেকও। কিনেও কুল করতে পারছেন না অনেকে।
করাচির পয়ঃনিষ্কাশন বোর্ডের দাবি, অতি খরায় পানির স্তর নেমে যাওয়ার পাশাপাশি আঞ্চলটিতে জনসংখ্যার হার বেশি থাকার কারণেই প্রতি বছর সংকট বাড়ছে।
আরব সাগরের পাশে অবস্থান হওয়ার পরও করাচিতে এতো পানির সংকটের কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরির্তনের ক্ষতিকর প্রভাবকে। এছাড়া ভারতের নদীগুলোতে বাঁধ দেয়াও অন্যতম কারণ বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।
করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ওয়াকার আহমেদ বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ছাড়াও পানি ঘাটতির বেশকিছু কারণ রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম প্রশাসনের উদাসীনতা, অব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।
পানির তীব্র সংকট মোকাবেলায় বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। করাচি থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরের কিনঝার লেক থেকে পানি আনার পরিকল্পনা করছে সরকার।
Leave a reply