চঞ্চল চৌধুরীর ব্যক্তিগত পরিচয় নিয়ে গত কয়েক দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে আলোচনা আর সমালোচনা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি তার ভেরিফাইড ফেজবুক পেজে মন্তব্য করেছেন।
তিনি লিখেছেন, এতে আমি শুধুই বিব্রত নই সেই সাথে মানসিকভাবে খুব অস্বস্তিকর সময় পার করছি। পরিচয়ের নিয়ে এরকম পরিস্থিতি কাম্য নয়। এই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে যারা আমাকে ভালোবেসে আমার হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলেছেন, সকল ধর্মের মানুষ আমার মাকে মা ডেকেছেন, আমার পরিচিত জন, শুভানুধ্যায়ী, সহকর্মীসহ দেশ বিদেশের হাজার হাজার মানুষ খোঁজ নিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
পরিচয় সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, আমি মানুষ আমি বাংলাদেশি আমি বাঙালি….আর ধর্ম পরিচয়টা প্রত্যেকের মতই জন্মগত। এতে কারও কোনো আপত্তি থাকলেও, আমার কোনো সমস্যা নেই। আর সবচেয়ে বড় যে পরিচয়ে আপনারা আমাকে চেনেন সেটা হলো, আমি একজন শিল্পী। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমাকে ভালোবাসে, আমার কাজ পছন্দ করে, এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন।
পরিচয় নিয়ে বিতর্ক না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, এই বিষয়টাকে কেউ ধর্মীয় বা রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করবেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউই কাউকে অসম্মান করে কিছু লিখবেন না।
আপনি যে ধর্মেরই হোন না কেনো, যে পেশারই হোন না কেনো, আপনার কর্ম দিয়ে দেশের জন্য কত টুকু মঙ্গল করছেন, সেটাই আসল কথা। আমার মনে হয় সকল মানুষের পরিচয়টা কর্ম, সহনশীলতা আর ধর্মীয় উদারতা দিয়ে হোক। আমাকে নিয়ে অতিসত্বর এই আলোচনারও পরিসমাপ্তি হোক! আসুন, আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই।
Leave a reply