বিহার আর উত্তর প্রদেশের গঙ্গায় বাড়ছে ভাসমান মরদেহ। সদ্যমৃত, আধপোড়া বা সপ্তাহখানেকের পঁচাগলা মরদেহের গন্ধে ভারি হয়ে উঠছে তীরবর্তী এলাকাগুলো। দোষারোপের রাজনীতিকে পাশ কাটিয়ে পরিবেশ দূষণ কমাতে সৎকারের দিকেই মনোযোগী স্থানীয় প্রশাসন।
বিহার ও উত্তর প্রদেশের গ্রামগুলোয় প্রতিনিয়ত ভেসে উঠছে এসব মরদেহ। ধারণা করা হচ্ছে, করোনায় মৃতদের লাশই ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে পানিতে। স্পষ্টভাবে না বললেও এখনো চলছে পাল্টাপাল্টি দোষারোপের রাজনীতি।
উত্তর প্রদেশের গাজিপুরের অধিবাসী বলেন, ফুলে ওঠা শরীরগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে, দেড় সপ্তাহ পুরোনো এসব মরদেহ। অন্যান্য জেলা থেকেই এগুলো ভেসে আসছে। ঘুমর গ্রামের কাছে রয়েছে গঙ্গার বাঁক। স্রোতস্বীনি নদী সেখানে হারিয়েছে প্রবাহ। তাই, ভাসিয়ে দেয়া মরদেহগুলো সব সেখানে জমা হচ্ছে।
অবশ্য প্রশাসনের তরফ থেকে দ্রুত সৎকারের দিকেই এখন মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবীরা নৌকার মাধ্যমে সংগ্রহ করছে ভাসমান লাশ; দাহ করছে রীতি মোতাবেক।
উত্তর প্রদেশের গাজিপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মঙ্গলা প্রসাদ সিং বলেন, শ্মশানগুলোয় বাড়ানো হয়েছে সৎকারের সুযোগ-সুবিধা। গ্রামবাসীকেও জানানো হয়েছে, তারা যেনো করোনায় মৃতদের লাশ নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া অন্য কোথাও না নেয়। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্যেই সরকারের এ উদ্যোগ। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় এবার কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এছাড়া, নদীতে ভাসমান লাশ মিললে সেগুলোও দ্রুত দাহ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
গত সপ্তাহেই ভয়াল এ চিত্র সবার সামনে আসে। মূলত যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশের দিকেই অভিযোগের তীর। কারণ, সেখানকার নদী তীরবর্তী বালিতে পোতা অবস্থায়ও মিলেছে মরদেহ।
অনেকেই বলছেন, প্রকৃত প্রাণহানির সংখ্যা গোপনের জন্যেই এ অপতৎপরতা।
Leave a reply