রোজিনা ইসলামের ওপর আঘাত সাংবাদিকদের ওপরই আঘাত: প্রেসক্লাব সভাপতি

|

রোজিনা ইসলামের ওপর আঘাত সাংবাদিকদের ওপরই আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।

আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুরে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তির ব্যাপারে কী আলোচনা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে বেআইনিভাবে হেনস্তার বিষয়ে তদন্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। রোজিনা ইসলামের জামিনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ফরিদা ইয়াসমিন।

এছাড়াও অসুস্থ রোজিনা ইসলামের চিকিৎসা বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রেসক্লাবের সভাপতি। কারাগারে তাকে যেন হেনস্তা না করা হয়, এমন দাবিও জানানো হয়েছে বলে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার সাধ্যমতো এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন জানিয়ে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন বৃহস্পতিবারের শুনানিতে হয়তো রোজিনা ইসলামের জামিন হয়ে যাবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, তিনি বলেছেন, আমরা চাই না সাংবাদিকদের সঙ্গে কারো ভুল বোঝাবুঝি হোক।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আটকে রেখে ছয় ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করার বিষয়ে তারা বারবার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বলেও জানান ফরিদা ইয়াসমিন। তারা এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এর আগে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রেসক্লাব জানান, তথ্যমন্ত্রীও বিষয়টার সুন্দর এবং সুষ্ঠু সমাধান চান।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, সংবাদকর্মীদের অন্যান্য সংগঠনসহ সবাই মিলে রোজিনা ইসলামের ব্যাপারটি নিয়ে করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রোজিনা ইসলাম একা নন। তিনি আমাদেরই সহকর্মী। আমাদেরই বোন এবং আমরা তার সাথে আছি। এই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় আমরা সব জায়গায় এই দাবিই করেছি।

আজকে জামিন না হওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে বলেও জানান এই সাংবাদিক।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, যে দু’টি ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সে দু’টিই জামিনযোগ্য হওয়ার পরেও তার রিমান্ড চাওয়া হয়েছে আদালতে। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

রোজিনা ইসলামের ভাই মো. সেলিম রেজা এ সময় বলেন, তারা রোজিনার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। তার চিকিৎসার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে তিনি আশাবাদী বলেও জানান তিনি। তিনি সবার কাছে রোজিনা ইসলামের জন্য দোয়া কামনা করেন।

উল্লেখ্য, অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগে সোমবার রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আজ সকালে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী এ মামলা দায়ের করেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply