ভৈরব প্রতিনিধি:
ভৈরবে একাধিক মাদক মামলার আসামি সুমি বেগমকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে গতকাল বুধবার মধ্যরাতে থানায় একটি মামলা করা হয়। পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার এ ঘটনায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্ত দুজনকে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরা হলো সুমি বেগমের ছেলে দুর্জয় (২৫) ও তার বোন পারভিন বেগম (৪০)। অন্য অভিযুক্তরা হলো সানু মিয়া ও তামান্না। তারা দুজন পলাতক রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ভৈরব থানা পুলিশের একটি দল শহরের পঞ্চবটি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী সুমি বেগমকে ধরতে অভিযান চালায়। সুমির বিরুদ্ধে থানায় দু’টি গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
অভিযানের সময় সুমি এলাকার একটি দোকানে অবস্থান করছিল গোপনে খবর পায় পুলিশ। পরে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেললে তার ছেলে ও বোনসহ কয়েকজন মিলে পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে সুমিসহ তারা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে বুধবার রাতে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে সুমি পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে গেছে। তবে পুলিশ বলছে সে কৌশলে পালিয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিন জানান, মাদক ব্যবসায়ী সুমি বেগমের বিরুদ্ধে ভৈরবসহ বিভিন্ন থানায় ২৮টি মামলা রয়েছে। তার মধ্য দুই মামলায় ভৈরব থানায় দু’টি গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। তাকে গতকাল ধরতে গেলে সে কৌশলে পালিয়ে যায়। পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেননি। তবে ঘটনায় আজ মামলা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
Leave a reply