ভারতে মাছ খাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন আতঙ্ক। গঙ্গায় মরদেহ ভেসে ওঠার খবর ছড়ানোয় মাছ কিনতে চাইছে না সাধারণ মানুষ। বিশেষভাবে উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্কটা সবচেয়ে বেশি। সাধারণ মানুষের শঙ্কা, মাছের মাধ্যমে ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস।
পাটনার পাইকারি বাজারে স্বাভাবিক সময়ে দিনে ২ থেকে আড়াই টন মাছ বেচাকেনা হয়। এখন সেখানে ভিড় নেই বললেই চলে। মাছে-ভাতে বাঙালি পরিচয় ধারণকারী কলকাতার বাসিন্দাদের যেখানে মাছ ছাড়া এক বেলাও রসনা পূরণ হয় না সেখানে শহরটির মাছ বাজার যেন খাঁ খাঁ করছে। বেশ কিছুদিন ধরে গঙ্গায় মরদেহ ভেসে ওঠার খবরেই মূলত মাছ বাজারের এমন দশা।
আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা ভারতেই। মাছের মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে মাছের বাজারের ধারে কাছেও ঘেঁষছে না অনেকে। যারা কিনছে তাদের মনেও নানা সংশয়-শঙ্কা। কেনার আগে বিক্রেতার কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে নিতে চাইছেন মাছের উৎস। মাছ থেকে মানুষ এভাবে মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় মাথায় হাত বিক্রেতাদের। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ আর বিহারে বড় ধরনের লোকসানে পড়েছে মাছ ব্যবসায়ীরা।
মাছের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরাও। এ বিষয়ে দ্রুত গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
মে মাসের শুরু থেকেই বিহার আর উত্তর প্রদেশে গঙ্গা নদীতে ভেসে থাকতে দেখা যায় অসংখ্য লাশ। ধারণা করা হয়, সৎকারের সুযোগ-সামর্থ্য না থাকায় ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে করোনায় মৃতদের।
Leave a reply