জমি দখলের জন্যই রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল শাহীন উদ্দিনকে। আর এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আউয়াল।
ভৈরব থেকে তাকে গ্রেফতারের পর এমনটা জানিয়েছে র্যাব। সংস্থার লিগাল ও মিডিয়া উইং-এর কমান্ডার জানিয়েছেন, আবাসন ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সন্ত্রাসীদের পুষতেন আউয়াল। তার নির্দেশেই স্থানীয় সুমন বাহিনী শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করে।
র্যাব জানায়, রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর বাসিন্দা শাহীনউদ্দিনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো সাবেক এমপি মো. আউয়ালের। রাজনীতির বাইরে এই আবাসন ব্যবসায়ী শাহীনের জমি নেবার জন্য তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। আর এর দায়িত্ব দেন স্থানীয় সন্ত্রাসী সুমনকে। নির্দেশনা অনুযায়ী ১৬ মে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করে সুমনবাহিনী।
বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে আউয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত হাসান ও বাবুকেও ধরা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, মিশন শেষ করে আউয়ালকে ফোন দিয়েছিল ঘাতক সুমন। মামলার এক নম্বর আসামি সাবেক এমপি আওয়ালকে ফোন দিয়ে সুমন বলে- স্যার ফিনিশ। এরকম বিভিন্ন সূত্র ও প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আমরা দেখেছি ঘটনার সাথে আওয়ালের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
এদিকে আউয়াল গ্রেফতারের বিচারের আশা দেখছেন নিহত শাহীনের মান। এখন তার চাওয়া একটাই- অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি। শাহীনের স্ত্রী জানিয়েছেন, ঈদের দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে তার স্বামীকে আসামিরা বাসা থেকে ডেকে নিয়েছিলো ঘাতকরা।
হত্যাকাণ্ডের পর পরই পল্লবী থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো সুমনসহ বেশ কয়েকজনকে। তদন্ত শুরু করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ। পাশাপাশি র্যাবের ছায়াতদন্ত। তারই ফলশ্রুতিতে উন্মোচিত হলো ঘটনার মোটিফ ও পর্দার পেছনের কুশীলবরা। হত্যা মিশনে অংশ নেয়া বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।
Leave a reply