প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে কাশিমপুর কারাগার থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এরপর তাকে করোনা পরীক্ষা করার পর আইসোলেশনে রাখা হবে। রোজিনা ইসলাম মানসিকভাবে অনেকটা বিপর্যস্ত। রোজিনা ইসলাম আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপসহ বেশকিছু অসুখে ভুগছিলেন। এরপর ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী তার চিকিৎসা ও বাসায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
আজ রোববার বিকেলে কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে জামিনের কাগজপত্র পৌঁছালে পরবর্তী প্রক্রিয়া শেষে কারাগার থেকে মুক্ত হন রোজিনা ইসলাম।
এর আগে, পাঁচ হাজার টাকায় বেল বন্ডের বিনিময়ে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। আজ রোববার (২৩ মে) সকালে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়। শর্তানুযায়ী, আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে।
গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) পৌনে ১টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে তার জামিন শুনানি হয়। ওইদিন জামিন না দিয়ে নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেওয়ার কথা জানান আদালত।
গত সোমবার (১৭ মে) প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার (১৮ মে) সকাল পৌনে ৮টার দিকে শাহবাগ থানা থেকে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর তাকে আদালতে তোলা হয়। এদিন পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার।
এনএনআর/
Leave a reply