সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সত্যিকার অর্থে মিয়ানমারের নাগরিক কিনা তা যাচাই বাছাইয়ের পর ফেরত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খ শোয়ে।
ঢাকায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষে আজ বিকালে সাংবাদিকদেরকে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
মন্ত্রী বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা তাদেরকে সব কিছু জানিয়েছি। ক্রমান্বয়ে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার।
দুপুরের পর সচিবালয়ে নিজ নিজ দেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন দুই দেশের দুই মন্ত্রী। ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে আলোচনা হয় মাদক পাচার, সীমান্ত হত্যা বিষয়েও। তবে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ দফা প্রস্তাব এবং সংকট সমাধানে কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর সুনির্দিষ্ট দিন তারিখ ঠিক না হলেও, আশ্রয় নেয়া ১৬শ’ পরিবারের ৮ হাজার ৯০ রোহিঙ্গার একটি তালিকা দেয়া হয়েছে। তাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি যাচাই বাছাই শেষে ফেরত নেয়া হবে।
তিন স্তরে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, তারা পজেটিভ মুড নিয়ে এসেছে বলে মনে হয়েছে।
৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এখনও সীমান্ত এলাকায় আটকা পড়ে আছে। তাদেরকে নিজেদের এলাকায় ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি আলোচনা হবে বলেও জানান আসাদুজ্জামান খান।
Leave a reply