সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একমত হলো যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্ক

|

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনও স্বীকার করলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের সম্পর্ক ‘সংকটে উপনীত’ হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত জাভুসগ্লুসহ অন্যান্য নেতাদের সাথে ম্যারাথন বৈঠক শেষে দু’পক্ষ নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একমত হয়েছে। একই সাথে সিরিয়ার মানবিজে মার্কিন সেনাদের পাশাপাশি তুর্কি সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব করেছে আঙ্কারা।

শুক্রবার দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন, সিরিয়া ইস্যুতে কিছু দ্বিমত থাকা সত্ত্বেও উভয় পক্ষ সম্পর্ককে আরা খারাপের দিকে যেতে দিতে চায় না।

রেক্স টিলারসন বলেন, ‘ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যেকার মিত্রতার সম্পর্ক উভয় পক্ষের জন্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, তা ঠিক করতে উদ্যোগ নেয়ার কোনো বিকল্প নেই।’

অন্যদিকে মেভলুত জাভুসগ্লু বলেন, সিরিয়ায় উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিমত দূর করতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘কথাকে কাজে পরিণত করার’ এখনই সময়।

সিরিয়ান কুর্দি গেরিলা ওয়াইপিজি’কে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে তুরস্ক। দেশটির ন্যাটো মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও একই সংগঠনকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করলেও আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে কুর্দি গেরিলাদেরকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে শক্তিশালী করছে ওয়াশিংটন।

এতে চরম ক্ষুব্ধ হয় এরদোগান সরকার। আফরিনে অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ সিরিয়ান মানবিজ শহর পর্যন্ত বিস্তৃত করার ঘোষণা দেয়া হয়। ওখানে মার্কিন সেনারা কুর্দিদেরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এতে দুই ন্যাটো মিত্রের মধ্যে সামরিকভাবে মুখোমুখি হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়।

এর মধ্যেই বুধবার আঙ্কারায় পৌঁছান রেক্স টিলারসন। প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সাথে তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘আমাদের মিত্রতা স্বল্প মেয়াদী নয়, বরং সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং পারস্পরিক মর্যাদা ও স্বার্থের ওপর প্রতিষ্ঠিত। সিরিয়ায় আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যও একই।’

এদিকে এরদোগানের সাথে বৈঠকে প্রটোকল ভঙের অভিযোগ উঠেছে টিলারসনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে কোনো অনুবাদক বা ব্যক্তিগত সহকারীকে ছাড়াই একা বৈঠকে বসেন তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। তবে এরদোগানের পক্ষে অনুবাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত জাভুসগ্লু।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করা সাবেক কর্মকর্তা বলছেন, এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রটোকল লঙ্ঘন করেছেন রেক্স টিলারসন। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত কোনো অনুবাদক না রাখার কারণে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সাথে তার যোগাযোগ শতভাগ ফলপ্রসূ নাও হতে পারে বলে শঙ্কা সাবেক মার্কিন কূটনীতিক জন কিরবির।

তবে মার্কিন প্রশাসনের বর্তমান কর্মকর্তারা বলছেন, এরদোগানের সাথে টিলারসনের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।

 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply