টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
এখনো পূর্ণাঙ্গতা পায়নি গাভী হওয়ার। বয়স প্রায় দশ মাস। যেখানে ন্যুনতম আঠারো মাস লাগে একটি বকনা বাছুরের গাভীর উপযুক্ত হতে। সেখানে গাভীন হওয়ার আগেই অলৌকিকভাবে প্রতিদিনই দুধ দিচ্ছে তিন থেকে চার লিটার করে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মর্জিনা খাতুন বসবাস করেন টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলার পৌর এলাকার গড়গোবিন্দপুর গ্রামে। তিনি গত দশ বছর ধরে বিদেশী জাতের গরু লালন পালন করছেন। এখন তার একটি গাভী রয়েছে যেটা পর্যায়ক্রমে তিনটি বাচ্চা প্রসব করেছে। আগের দু’টিকে বড় করে বিক্রিও করেছে। কিন্তু এবারের বকনা বাছুরটি হয়েছে একদমই ব্যতিক্রম। বয়স মাত্র সাড়ে নয়মাস। এখনও গাভী হওয়ার পূর্ণাঙ্গতা পায়নি। কিন্তু অলৌকিকভাবে প্রতিদিনই তিন থেকে চার লিটার দুধ দিচ্ছে কোনো ধরনের বিয়ানো ছাড়া। এখন পর্যন্ত গর্ভবতী হয়নি বা বাচ্চাও প্রসব করেনি তবু দুধ দিয়ে যাচ্ছে গত দশদিন ধরে।
দর্শনার্থীরা বলেন, দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসছে দেখার জন্য। তারা এসে বলছেন তাদের বয়সে হয়েছে কিন্তু এমন ঘটনা আগে শোনেনি। বিষয়টি তাদের কাছে অলৌকিক তাই নিজ চোখে দেখতে পেরে তারা খুব খুশি এবং আনন্দিত।
এদিকে সখিপুর উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল জলিল বলেন, হরমোনের কারণে এরকম হয়ে থাকে। অক্সিটোসিন হরমোন যদি বেড়ে যায় তাহলে এরকম বকনা গরু থেকে দুধ আসতে পারে। এটা নিয়ে কৌতূহলের কিছু নেই। এই দুধ স্বাস্থ্যসম্মত এটা যে কেউ খেতে পারবে।
Leave a reply