মোবাইল ফোন অপারেটরদের চতুর্থ প্রজন্মের (ফোর-জি) টেলিযোগাযোগ সেবার লাইসেন্স দিচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)।
আগামী সোমবার সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এ সেবার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। রবি, বাংলালিংক, গ্রামীণফোন এবং টেলিটক, এই চারটি মোবাইল অপারেটর ফোর-জি সেবার লাইসেন্স নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে।
লাইসেন্স প্রাপ্তির পরদিনই গ্রাহকের কাছে চতুর্থ প্রজন্মের এই টেলিযোগাযোগ সেবা পৌছে দিতে চায় অপারেরটরা। এরই মধ্যে প্রস্তুতি সেরে রেখেছে তারা। ইন্টারনেট গতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে তরঙ্গ ও বাড়তি অবকাঠামোর সুফল নিশ্চিতের লক্ষ্য তাদের।
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “ফোর-জি সেবা চালু হলেও, সব গ্রাহক সুবিধা নিতে পারবেন না। কারণ, অনেকের কাছেই ফোরজি উপযুক্ত হ্যান্ডসেট নেই।”
তৃণমূলে ফোর-জি পৌছে দিতে উপযুক্ত হ্যান্ডসেটের বাজার বাড়ানো জরুরি বলে জানান আমদানিকারকরা। হ্যান্ডসেট আমদানিকারকদের সংগঠন বিএমপিআইএ-এর সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ানুল হক বলেন, “বর্তমানে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ১৩ কোটি। এর বিপরীতে হ্যান্ডসেট আছে প্রায় ১০ কোটি। কিন্তু, চালু থাকা হ্যান্ডসেটের ৭০ ভাগই ফিচার ফোন। বাকি ৩০ ভাগ স্মার্টফোন। যার মাত্র ৫ ভাগ ফোর-জি সেবার জন্য উপযুক্ত।”
ফোর-জি হ্যান্ডসেট না থাকার পাশাপাশি মানসম্পন্ন সেবা পৌছাতে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের দুর্বলতাকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন মোবাইল ফোন সেবা সংশ্লিষ্টরা।
অ্যামটব-এর মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবীর বলেন, “বর্তমানে বিশ্বে ফোর-জি প্রযুক্তির গড় গতি ১৬ দশমিক ৬ এমবিপিএস। দেশে বিদ্যমান ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক মানসম্পন্ন ফোর-জি সেবার জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।”
Leave a reply