বিশাল খেলাপি ঋণের ভারে সংকটে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো। বেসরকারি খাতের ব্যাংকেও নেই স্বস্তি। অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ দেয়ায় বেড়েই চলেছে উদ্বেগ।
অগ্রণী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে তাই ঘুরে ফিরেই এলো খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গ। বক্তারা বললেন, ঋণ প্রস্তাব এলে তা যাচাই-বাছাই করার ওপর জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার সঙ্গে সুস্পর্ক স্থাপন করা তাগিদও দেন কেউ কেউ।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘সরকারি ব্যাংকগুলোতে তুলনামূলকভাবে খেলাপি ঋণ বেশি। এটা কমানোর জন্য গ্রাহককে চিনতে হবে। তার ব্যবসা সম্পর্কে আগে জানতে হবে। যারা ব্যাংকের কর্মকর্তা আছেন তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন কিনা।’
এদিকে এ বছরের ডিসেম্বরে অবসরে যাবেন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, জীবনে একটি সময় আসে যখন অবসর নেয়া উচিত। একটানা বহুদিন কোনো কাজে থাকলে পচন আসে। আমি সত্যিকারার্থেই অবসরে যাব।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর শুক্রবার করা এক মন্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে ঠাণ্ডা ধরনের মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বি.চৌধুরী।
পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ওই রিপোর্টটি পড়েছি। হ্যাঁ আমি জানাচ্ছি এ বছরের ডিসেম্বরেই আমি অবসরে যাবো। সে হিসেবে আর মাত্র ১১ মাসের (প্রকৃত হিসেবে সাড়ে ১০ মাস) মতো আছি।’
অগ্রণী ব্যাংকের বর্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত। উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান, ব্যাংকের এমডি শাসমুল ইসলামসহ ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের অন্য কর্মকর্তারা।
Leave a reply