ঢাবি শিক্ষার্থী হাফিজের মৃত্যুর ঘটনায় ভয়াবহ মাদক এলএসডি’র সন্ধান

|

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে ভয়াবহ মাদক এলএসডি’র সন্ধান পেয়েছে ডিবি পুলিশ। দেশে এলএসডি জব্দের ঘটনা এটাই প্রথম বলে জানিয়েছে ডিবি।

ডিবিসূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে ‘আপনার আব্বা’ নামে একটি গ্রুপের মাধ্যমে ওই মাদকের ক্রেতা সংগ্রহের কাজ চলে। গ্রুপে সদস্যসংখ্যা এক হাজারের বেশি। মাদকটি বিক্রির সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সুইডেন থেকে আমদানিকৃত এই মাদকের প্রতিটির বিক্রিমূল্য তিন হাজার টাকা। পেপ্যালের মাধ্যমে সুইডেনের এই মাদকের মূল্য পরিশোধ করা হতো বলে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ২০০টি এলএসডি জব্দ করা হয়েছে।

হাফিজুরের মৃত্যুর পর জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের শিক্ষার্থী বাপ্পী ও তার বন্ধুরা হাফিজুরকে গত ১৫ মে কার্জন হলের প্রাঙ্গণে নিয়ে ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি সেবনে বাধ্য করে। বাপ্পী বন্ধুমহলে নিষিদ্ধ মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। এরপরই ডিবি পুলিশ এলএসডি’র বিষয়ে খোঁজ নেয়া শুরু করে। এর আগে নিখোঁজের ৯ দিন পর ঢাকা মেডিকেলের মর্গে মরদেহ শনাক্ত হয় হাফিজের।

পুলিশের দাবি, হাফিজুর রহমান আত্মহত্যা করেছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এক ডাবওয়ালার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজেই নিজের গলা কাটে হাফিজুর। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য, লাইসারজিক অ্যাসিড থেকে তৈরি এলএসডি মাইক্রোগ্রাম হিসেবে নেওয়া হয়। এই মাদক উত্তেজনা তৈরি করে। মনের ওপরও এর প্রভাব রয়েছে। কখনো আনন্দদায়ক, কখনো ভীতিকর অনুভূতি তৈরি হয় এর প্রভাবে। আনন্দদায়ক অনুভূতি হলে সেটাকে বলে গুড ট্রিপ আর ভীতিকর অনুভূতি হলে সেটাকে বলে ‘ব্যাড ট্রিপ’। ব্লটার পেপার, ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল, তরল বা কিউব ইত্যাদি নানাভাবে এলএসডি বাজারজাত করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply