দপ্তরিকে ক্লাসরুম পরিষ্কার করতে বলায় প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনাটি এখনও শিক্ষক সমাজে আলোচনার প্রধান বিষয়। শিক্ষকরা দ্রুত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
কীভাবে একজন শিক্ষকের গায়ে হাত তোলেন কর্মচারী, তা এখনও বোধগম্য নয় অনেকের। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও।
ময়মনসিংহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। প্রতিবাদ মুখর ভুক্তভোগী শিক্ষকের সহকর্মীরাও।
ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন গফরগাঁও উপজেলার বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম। তিনি জানান, প্রকাশ্যে মারধর করায় সামাজিকভাবে তিনি হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। এটা লজ্জাজনক।
এদিকে অভিযুক্ত দপ্তরিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন শিক্ষকরা। বলছেন, দাবি পূরণ না হলে আন্দোলনে যাবেন তারা। তারা জানান, একজন প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় পরিষ্কার করতে বলায় তাকে মারধর করা হবে এটা সত্যিই লজ্জাজনক। এতেই বোঝা যায় শিক্ষক সমাজের অবস্থান আজ কোথায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার অভিযুক্ত দপ্তরি রাকিবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় দপ্তরি রাকিব ও তার ভাই নাদিমকে আসামি করে মামলা হয়েছে, চলছে তদন্ত।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম জানান, মামলা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই শিক্ষক নিলুফার পাশে থাকবো আমরা।
Leave a reply