পাকিস্তানসহ তিন দেশ থেকে যাওয়া অমুসলিমদের নাগরিকত্বের আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে ভারত। মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আবেদনকারীদের চিহ্নিত করে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দেয়ার পায়তারা চলছে। শঙ্কা, নতুন করে ধর্মীয় অস্থিরতা তৈরি হতে পারে এমন সিদ্ধান্তে।
করোনায় টালমাটাল গোটা ভারত। এর মধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সিএএ নিয়ে আবারও সক্রিয় হলো দেশটির সরকার। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের ১৩ জেলায় বসবাসরত অমুসলিম বাসিন্দাদের ভারতের নাগরিকত্ব দিতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বলা হয়, নতুন এই আইন অনুসারে ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ আবেদন করতে পারবেন। তবে শর্ত দেয়া হয় যাঁরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসব এলাকায় বসবাস করছেন, শুধু তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বলছে বিরোধী দলের নেতারা। তাদের দাবি, সরকারের নানা ব্যর্থতা ঢাকতে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে মোদি প্রশাসন।
এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হয় ২০১৯ সালে । যার বিরোধীতা করে দিল্লিতে দাঙ্গা পর্যন্ত হয়েছে। সেই সময় আইনটি বাতিলের দাবিতে চলে টানা বিক্ষোভ। দীর্ঘদিন পর ফের এটি চালু করায় আবারও ধর্মীয় সহিংসতার শঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে কোন মহলের সমালোচনা আমলে নিতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগ্রহীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। পরবর্তিতে রাজ্য, জেলা ও কেন্দ্রীয় সরকার এসব আবেদন যাচাই–বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে।
Leave a reply