সিলেটে একই দিনে দফায় দফায় মৃদু ভূকম্পন ভাবিয়ে তুলেছে তত্ত্ববিদদের। তাদের মতে, এই মৃদু ভূকম্পন ভবিষ্যতে বড় ভূমিকম্পেরই আভাস দিচ্ছে। ভৌগলিকভাবেই বাংলাদেশের অবস্থান ভূমিকম্পের উৎসের একদম কাছে। তাই এখন থেকেই ভূমিকম্প পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ ভূ-তত্ত্ববিদদের।
হঠাৎ করে সিলেটে একই দিনে অনেকগুলো মৃদু ভূকম্পন। স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, বড় কোনো ভূমিকম্পের পরে বা আগে এমন টানা মৃদু ভূকম্পন ঘটে থাকে। কিন্তু গত ১০০ বছরে ঐ অঞ্চলে বড় মাত্রার ভূমিকম্পের রেকর্ড নেই।
ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান ভূমিকম্প উৎসের একেবারেই কাছে। সরাসরি বললে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে দুই সক্রিয় টেটনিক প্লেটের উপর। একদিকে ইন্ডিয়ান প্লেট আর অন্যদিকে বার্মিজ প্লেট। আর উত্তরের ইউরেশিয়া প্লেটের সাথে এই দুই প্লেটই সমানভাবে সক্রিয়।
মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরেই এই তিন প্লেটের ক্রম সংকোচন ও একটির উপর একটির উঠে যাওয়ায় পাল্টে গেছে পুরো পৃথিবীর মানচিত্র। এমনকি বিশাল হিমালয়ের সৃষ্টি এই কারণে। আর এই তিন প্লেটের সবচেয়ে বিপদজনক ওভারল্যাপই ডাউকি ফল্ট নামে পরিচিত। যেখানে জমে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের শক্তি। আর এই শক্তি নির্গমনের একমাত্র উপায় ভূমিকম্প।
ডাউকি ফল্টের পশ্চিম প্রান্তে সবশেষ ১৮৯৭ সালে বড় একটি ভূমিকম্পের রেকর্ড আছে যার প্রভাবে বদলে যায় বাংলাদেশের নদীর গতিপথ। কিন্তু পূর্ব প্রান্তে ৫/৬শ’ বছরেও রেকর্ড নেই ভূমিকম্পের। আর ভয়ের কারণটি হচ্ছে এবারের মৃদুভূকম্পনগুলো পূর্ব প্রান্তেই।
ভূমিকম্পের কোনো পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব নয়। তাই দেশের মানুষকে সচেতন করা ও ভূমিকম্পের মূহুর্তে নিজেকে নিরাপদ রাখার মহড়া ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছেন না ভূ-তত্ত্ববিদরা।
Leave a reply