স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা:
নেত্রকোণার পূর্বধলায় লাক মিয়া (২০) নামের এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের বড় ভাই তাঁরা মিয়া (২৩) ও ভাবি রুমা আক্তারকে (১৯) (স্বামী-স্ত্রী) আটকের পর বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য।
ভাবির সাথে পরকীয়ার জেরেই প্রাণ দিতে হয়েছে দেবর লাক মিয়াকে এমনটিই নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম।
পুত্রবধূর সাথে পরকীয়ার জেরে খুন হয়েছে ছেলে লাক মিয়া এমন অভিযোগ এনে শনিবার (২৯ মে) বিকালে বড় ছেলে তাঁরা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা আক্তারকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা পূর্বধলা উপজেলার ঘোমকান্দা গ্রামের আবু সিদ্দিক ফকির।
নিহতের বাবার দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, গত ৪/৫ মাস যাবত তার পুত্রবধূ রুমা আক্তারের সাথে ছোট ছেলে লাক মিয়ার প্রেমের সম্পর্কসহ অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিল। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তার বড় ছেলে তাঁরা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা আক্তার লাক মিয়াকে খুনের পরিকল্পনা করে। গত দুই দিন আগে তিনি ও তার স্ত্রী আছমা খাতুন ঢাকায় তার মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে এ সুযোগে তার বড় ছেলে তাঁরা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা আক্তার ছোট ছেলে লাক মিয়াকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।
হত্যার পরে তাকে মুঠোফোনে জানায়, লাক মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট/গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে নিহত ছেলের থুতনিতে ও বুকে দাগ দেখতে পান। আবু সিদ্দিক ফকিরের ধারণা তার ছেলে লাক মিয়াকে গত শুক্রবার (২৮ মে) সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে তার বড় ছেলে তাঁরা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা আক্তার আরও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
পূর্বধলা ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু হয়েছে এমন খবরে গত শুক্রবার (২৮ মে) বিকালে স্থানীয়রা ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই যুবকের মরদেহটি দাফন করতে চায়। কিন্তু মৃত্যু ও ঘটনাটি তার কাছে রহস্যজনক মনে হওয়ায় তিনি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। এ সময় সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের বড় ভাই ও ভাবিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসলে বেরিয়ে আসে খুনের রহস্য।
হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি আরও জানান, মামলা দায়েরের পরপরই ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইউএইচ/
Leave a reply