নেত্রকোণায় আসামির ধান বিক্রি করতে দিচ্ছে না পুলিশ

|

স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা:

নিজের ধান বিক্রি করে বিপাকে পড়েছেন নেত্রকোণার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের কৃষক ছিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী পারভিন আক্তার। পুলিশ ধান নিতে বাধা দেয়ায় রোববার নিজ ঘরের সামনে ধান নিয়ে বসে ছিলেন তিনি।

ভুক্তভোগী পারভিন আক্তার বলেন, নিজের ধান বিক্রি করে আমি বিপদে পড়েছি। ধান ক্রয়কারী লোকজন বাড়িতে এসে বসে আছে। তারা ধান নিতে চাইলে থানার পুলিশ বাধা দিয়েছে। আমার স্বামীকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামালার আসামী করা হয়েছে। মামলার পর থেকে আমার পরিবারের পুরুষ লোকজন বাড়ি ছাড়া। আমরা ৪ জন মহিলা বাড়িতে বসবাস করছি। বাদী পক্ষের লোকজন ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করেছে। প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ২শ মণ ধান লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করে আমাদের হুমকি দিতেছে। টাকার প্রয়োজন হওয়ায় রোববার ধান বিক্রি করেছিলাম। কিন্তু মদন থানার দারোগা মাসুদ সাহেবসহ কয়েকজন পুলিশ নিয়ে এসে ধান নিতে দিচ্ছে না। বাজার করে খাওয়ার মতো টাকা আমার হাতে নাই। আমরা এখন কি করবো?

গোবিন্দশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নূরুল ইসলাম ছদ্দু মিয়া বলেন, ছিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী নিজেদের ধান নিজেরাই বিক্রি করেছে এতে পুলিশের বাধা দেয়ার তো কিছু নেই। এ বিষয়ে আমি ওসি সাহেবের সাথে কথা বলবো।

মদন থানার এসআই মাসুদ জামালী বলেন, হত্যা মামালার বাদী ও বিবাদীর বাড়িতে আমি ডিউটিতে আছি। ধান বিক্রিতে বাধা দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এখন ধান নিলে সমস্যা আছে।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, বাদীপক্ষ জানিয়েছে আসামী পক্ষের বাড়ি থেকে কে বা কাহার ধান নিয়ে যাচ্ছে। তাই ধান নিতে নিষেধ করা হয়েছে।

গত (১৮ মে) মঙ্গলবার নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় মেন্দিপুর ইউনিয়নের বাবনিকোনা গ্রামের বিল থেকে মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের মৃত ধন মিয়ার ছেলে আবু চাঁনের (৭০) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আবুল মিয়া বাদী হয়ে খালিয়াজুরী থানায় ১০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। হত্যা মামলায় ছিদ্দিক মিয়া (৬০) কে আসামী করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply