নানা নাটকীয়তা ও দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে দেশে এসেছে ফাইজারের ১ লাখ ৬০০ ডোজ টিকার চালান। সোমবার (৩১ মে) রাত সোয়া ১১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ টিকার চালান পৌঁছায়।
এর আগে, রোববার (৩০ মে) ফাইজারের টিকার চালান নিয়ে দিনভর নাটকীয়তা চলে। দফায় দফায় বদলায় ফাইজারের টিকা আসার দিনক্ষণ। সবশেষ রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, সোমবার (৩১ মে) রাতে ঢাকায় আসবে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজারের টিকা।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইপিআইয়ের তত্ত্বাবধায়নে মহাখালী সংরক্ষণাগারে মাইনাস ৬০ থেকে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখা হচ্ছে ফাইজারের এই টিকা। সব দেশের জন্য কোভিড টিকা নিশ্চিতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক উদ্যোগে কোভ্যাক্স থেকে আসা এটিই প্রথম চালান। এখন নিম্ন তাপমাত্রায় এটি সংরক্ষণ করাই বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রয়োজনীয় সক্ষমতা থাকার কথা নিশ্চিত করেছে। তবে ফাইজারের টিকার অপচয় রোধ করার দিকে নজর রাখা অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে অধিদফতর। সবার দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করতে ৫০ হাজার মানুষকে দেওয়া হবে এ টিকা। প্রাথমিকভাবে বয়স্ক নাগরিকদের এই টিকা দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দরিদ্র দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে গঠিত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের (গ্যাভি) মাধ্যমে ফাইজারের এ টিকা আসছে। প্রাণঘাতী ও সংক্রামক ব্যাধি থেকে দরিদ্র দেশগুলোর শিশুদের জীবন রক্ষায় টিকা প্রদানে ভূমিকা রাখা গ্যাভি বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯২টি দেশকে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স।
Leave a reply