সম্প্রতি মিশরের কায়রোর জাদুঘরে একটি মমি প্রদর্শিত হচ্ছে। মমিটিকে দেখলে মনে হয় এটি মৃত্যুর সময় প্রচণ্ড যন্ত্রণা সহ্য করেছে। এতদিন মমিটি কোনো অজ্ঞাতনামার বলে ধরে নেয়া হলেও বর্তমানে ঐতিহাসিকরা বলছেন এটি সম্ভবত তৃতীয় রামেসিসের ছেলে পেন্টাওয়ারের। তৃতীয় রামেসিসের শাসনকাল ছিল ১১৮৬ থেকে ১১৫৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ। ইতিহাসে আছে পেন্টাওয়ার তার বাবার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এতে নেপথ্য থেকে কলকাঠি নেড়েছিলেন তার মা টায়ার। টায়ার ছিলেন রামেসিস এর দ্বিতীয় স্ত্রী। মা-ছেলের উদ্দেশ্য ছিল রামেসিসকে হত্যা করে মসনদের দখল নেয়া। কিন্তু ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে পড়ে।
রামেসিস তার বিদ্রোহী সন্তানকে ক্ষমা করেননি। প্রাচীন প্যাপিরাসে লিখিত রয়েছে পেন্টাওয়ারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর তার মৃতদেহ মমি বানিয়ে ভেড়ার চামড়ায় মুড়িয়ে সমাহিত করা হয়। মিশরের সব রাজন্যদেরই মমি বানিয়ে পিরামিডে সমাহিত করা হতো। বিস্ময়ের কিছু নেই যে সেই আচার এখানেও রক্ষিত হয়েছে। ব্যতিক্রমটি হল মমি ভেড়ার চামড়ায় মুড়ে রাখাটা। প্রাচীন মিশরে ভেড়ার চামড়া অশুভ এবং অপবিত্র বলে মনে করা হত। বিদ্রোহের শাস্তি হিসেবে পেন্টাওয়ারের বরাতে ফাঁসির সাথে ভেড়ার চামড়ার আচ্ছাদনটা উপরি হিসেবে যোগ হয়েছিল।
রামেসিস কিন্তু শেষপর্যন্ত আততায়ীর হাতেই প্রাণ হারিয়েছিলেন। গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছিল এই ফারাওকে।
Leave a reply