মার্কিন শিশুদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র! ফ্লোরিডার ভোলুসিয়া কাউন্টিতে দেখা গেলো অভাবনীয় এ দৃশ্য। পুলিশের বিরুদ্ধে রীতিমতো প্রতিরোধ গড়ে তোলে অপরাধী সংশোধনাগার থেকে পালানো দুই শিশু। নাটকীয় অভিযানে তাদের পরাস্ত করতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু আলোচনায় উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নীতিমালার সংশোধন।
হলিউডের যে কোন অ্যাকশন মুভিকে হার মানালো এ আটকাভিযান। পার্থক্য একটাই, কোন দুধর্ষ অপরাধী নন বরং অস্ত্রধারীরা নেহাৎই শিশু। মাত্র ১৪ এবং ১২ বছরের দুই অপ্রাপ্তবয়স্কের কাছে কয়েক ঘণ্টা নাস্তানাবুদ হয় ফ্লোরিডার পুলিশ বাহিনী।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুসারে, গত মঙ্গলবার (১ জুন) রাতে ভোলুসিয়ার অপরাধী সংশোধনাগার থেকে পালায় তারা। জানালা ভেঙে ঢুকে যায় কাছের একটি বাড়িতে। সেখানেই ছিলো একে-৪৭, পাম্পগান ও শটগানের মতো আগ্নেয়াস্ত্র। মজুদ ছিলো বিপুল পরিমাণ বারুদ, বুলেটও। অবশ্য ঘটনার সময় অনুপস্থিত ছিলেন বাড়িটির মালিক ও পরিবারের বাকি সদস্যরা।
ফ্লোরিডার ভোলুসিয়া কাউন্টি শেরিফ মাইক চিটউড বলেন, এ অভিযান সত্যিই প্রশংসনীয়। ১২-১৪ বছরের শিশুদের থেকে এলোপাতাড়ি কয়েক ডজন গুলি আশা করিনি। তাদের দিকে গ্যাস ছোঁড়া হবে কিনা, সেটা নিয়েও দ্বিধায় ছিলাম। কারণ অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষতি হলে আমরাই প্রশ্নবিদ্ধ হবো। অথচ দাগী কোন অপরাধী সেখানে থাকলে অবশ্যই আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিতাম।
টানা আড়াই ঘণ্টার অভিযানের ৯ মিনিটের ভিডিও প্রকাশ করে ফ্লোরিডা পুলিশ। বডিক্যামের পাশাপাশি সংযুক্ত করা হয় হেলিকপ্টার ভিডিও। যাতে বেশ ক’বারই শিশু দুটির ক্ষ্যাপাটে উন্মত্ত কথাবার্তা শোনা যায়। এ আচরণে হতবাক পুলিশ সদস্যরা।
মাইক চিটউড আরো বলেন, আমরা বুঝতেই পারছিলাম না কেন ১২-১৪ বছর বয়সী দুজনের মন এতোটা বিষিয়ে আছে। তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তেও দ্বিধাবোধ করেনি। এমনকি দিয়েছে খুন করার হুমকিও।
অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের পরিচয় ও ছবি প্রকাশ থেকে বিরত রয়েছে ফ্লোরিডা পুলিশ। গোলাগুলিতে আহত কিশোরী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযান চলাকালেই আত্মসমর্পণ করে আতঙ্কিত ছেলেটি। তবে এ ঘটনায় নতুনভাবে আলোচনায় উঠে এসেছে মার্কিন অস্ত্র নীতিমালা সংশোধনের ইস্যুটি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও ফ্লোরিডাতে কিশোরের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ২০ জন, প্রাণ গেছে দুজনের।
Leave a reply