সম্প্রতি ভারতে পাচার হওয়া এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দেশে ফিরে তিনি জানিয়েছেন ভারতে পাচার হওয়ার পেছনের গল্প, আর ৭৭ দিন ধরে চলা অমানবিক নির্যাতনের কাহিনি। কিশোরী জানান, নারী পাচারকারি ওই সিন্ডিকেটের নাম ‘র্যাকেট’। প্রতিটি র্যাকেটে কিশোরী-তরুণীর সংখ্যা থাকে ৩৫ থেকে ৫০ জন পর্যন্ত।
র্যাকেটগুলো নিয়ন্ত্রণ করে একেকজন গডফাদার, যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। এমনই এক র্যাকেটের বন্দীশালা থেকে ভাগ্যগুণে বেঁচে আসেন ওই কিশোরী।
দশম শ্রেণি পেরোনোর আগেই তার সাথে ঘটে গেছে এমন বীভৎস কাহিনি। কিশোরী জানান, রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় বান্ধবীদের সাথে বেড়াতে এসে পরিচয় হয় হৃদয় বাবু ওরফে টিকটক বাবুর সাথে। অল্প কয়েকদিন পরেই গাজীপুরসহ আশপাশের কয়েকটি রিসোর্টে হ্যাং আউট আর পুল পার্টিতে অংশ নিয়ে ধীরে ধীরে হয় বন্ধুত্ব।
এক পর্যায়ে কুষ্টিয়ার লালন শাহর মাজারে বেড়াতে যাওয়ার নামে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সাতক্ষীরা সীমান্তে; এরপর সীমান্ত পার করে কলকাতা এবং পরে ব্যাঙ্গালুরুতে।
এরপর থেকেই শুরু হয় নির্যাতন। কথা না শুনলেই মারধর করা হতো। জোর করে সেবন করানো হতো বিভিন্ন ধরনের নেশা দ্রব্য। শরীর জীবিকার জন্য পাঠানো হতো আবাসিক হোটেলে।
তিনি বলেন, আমি যেতে না চাইলেও আমাকে জোর করে পাঠানো হতো। জোরাজুরির এক পর্যায়ে অশ্লীল ভিডিও করে পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হতো। কখনও আবার সেই ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের টাকা।
Leave a reply