বন্দিশালা থেকে পালিয়ে বেঁচে ফেরাদের জবানবন্দিতে আবারও উঠে এলো উইঘুরদের ওপর চীনা কর্তৃপক্ষের ভয়াবহ নিপীড়নের ঘটনা। তুরস্কে আশ্রয় নেয়া উইঘুর নারীরা জানান চীনের নিরাপত্তা বাহিনী কীভাবে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটিয়েছে মুসলিম নারীদের। পুরুষদের জবানবন্দিতেও উঠে এসেছে ক্যাম্পগুলোতে নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র।
তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর এক নারী সংবাদমাধ্যমকে জানান, জোর করে হাসপাতালে নিয়ে পেটে ইনজেকশন দিয়ে তার গর্ভের সন্তানকে হত্যা করা হয়। তিনি জানান, তার মতো লাখো নারী চীনের বিভিন্ন ক্যাম্পে দুর্বিষহ জীবন পার করছে। শুধুমাত্র উইঘুর মুসলিম হওয়ার অপরাধেই গর্ভপাতের মাধ্যমে তাদের সন্তানদের মেরে ফেলা হচ্ছে। চীনে জাতিগত নিধনের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে ব্রিটিশ গণ ট্রাইব্যুনালে প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দিতে।
জাতিসংঘ বলছে চীনা কর্তৃপক্ষের বর্বরতার শিকার অন্তত ১০ লাখ মানুষ। কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে আটক, গুম, হত্যা এবং ধর্ষনের মতো ঘটনা ঘটছে জিনজিয়াং প্রদেশে। এমনকি সংখ্যালঘু মুসলিমদের ঘরবাড়ি মাটির সাথে গুড়িয়ে দিয়ে চলছে উচ্ছেদ অভিযান।
ক্যাম্পগুলোয় জিজ্ঞাসাবাদের নামে বর্বরতা চলছে পুরুষদের ওপরও। আরবিতে বই প্রকাশের অভিযোগে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়।
একজন উইঘুর পুরুষ বলেন, তাকে আর তার ভাইকে একসাথে পিছমোড়া করে নির্যাতন করা হতো। টাইগার চেয়ার নামক বিশেষ একটি চেয়ারে বেধে রাখা হতো তাদের। একটু নড়াচড়া করলেই উপড়ে ফেলা হতো হাত-পায়ের নখ।
উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনের চালানো এই নির্যাতনকে সম্প্রতি মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেনসহ বেশ কিছু দেশ। সম্প্রতি জিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় গণট্রাইব্যুনালও শুরু হয়েছে ব্রিটেনে।
Leave a reply