গত দুই মাসে সংক্রমণ কমলেও করোনায় মৃত্যুহার বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। এ সময়পর্বে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে মৃত্যুহার বেড়েছে ৬ থেকে ৮ গুণ। সীমান্ত অঞ্চলের বাড়তি সংক্রমণকেই এর অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর আশ্বস্ত করছে, বিস্তার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা।
গত ৪ এপ্রিল ৭ হাজার ৮৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়, প্রাণহানি ঘটে ৫৩ জনের। ১ থেকে ৭ এপ্রিল মৃতের সংখ্যায় ওঠানামা ছিলো। সর্বোচ্চ শনাক্তের ওই সময়ে এক সপ্তাহে গড় মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৮৩।
প্রায় দুই মাস পর সোমবার (৩১ মে) ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৭১০ জন আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া গেছে। ওই দিন মারা গেছেন ৩৬ জন। গেলো এক সপ্তাহের চিত্রও কাছাকাছি। শনাক্তের তুলনায় মৃত্যুহার ভীতিকর- ২ দশমিক ১৪। আগের তুলনায় যা প্রায় তিন গুণ।
সম্প্রতি সীমান্তের বেশ কয়েকটি জেলায় শনাক্ত হয়েছে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। যেখানে শনাক্তের হার প্রায় ৫০ ভাগ। আর এসব এলাকায় মৃত্যুহার বেড়েছে অন্তত ৬ থেকে ৮ গুণ। সীমান্তবর্তী এলাকায় মৃত্যুহার বাড়ার কারণ এলাকাগুলোর চিকিৎসার সুযোগ ও মান। এমনটাই মনে করছেন বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।
সীমান্ত এলাকাগুলোতে মানুষের যাতায়াতের ব্যাপারটি নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সম্ভাব্য ঝুঁকি কমিয়ে আনা যাবে বলে মনে করছেন জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লাহ।
Leave a reply