বায়ো বাবল ভেঙেও পার পেয়ে গেল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কোনো লঘুদণ্ডও না, শুধু সতর্ক করেই শেষ সাকিব এবং মোহামেডানের বায়ো বাবল ভাঙার কাণ্ড। মঙ্গলবার (৮ জুন) বিসিবি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল শুনানিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব জৈব সুরক্ষা বা বায়ো বাবল ভাঙার কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ। সেই সাথে ভবিষ্যতে বায়ো বাবল ইস্যুতে আরও কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন বিসিবি।
গত ৪ জুন মিরপুরের ইনডোরের নেটে বায়ো বাবলের বাইরের বোলারদের নিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের বায়ো বাবল ভাঙেন মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ঘরোয়া লিগে জৈব সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিপুল অর্থ ব্যয় করে পাঁচ তারকা হোটেলে সব দলের সদস্যদের রাখার ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। নিশ্ছিদ্র বায়ো বাবলের মাঝে দলের বাইরে থাকা কারো ইনডোরে প্রবেশের সুযোগ না থাকলেও মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিবকে দেখা গেছে একজন ভক্তের সাথে ছবি তুলতে। এসবই ছিল লিগের ক্রিকেটারদের জন্য প্রণীত বায়ো বাবল নীতিমালার লঙ্ঘন।
বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠলে নড়েচড়ে বসে বিসিবি। ফলশ্রতিতে গত ৫ জুন এক বিবৃতিতে বায়ো বাবল ভাঙার অভিযোগে তদন্ত শুরু করে সিসিডিএম। গত মঙ্গলবার (৮ জুন) সুরক্ষা মেনেই কমিটির ভার্চুয়াল শুনানিতে বসে মোহামেডান অধিনায়ক ও ম্যানেজার। তবে শেষ পর্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করেই পার পেয়েছে ঐতিহ্যবাহী দলটি।
সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ বলেন, চার হোটেলে কমপ্লাইন্স ম্যানেজার, বোর্ডের কয়েকজন চিকিৎসকের নজরদারিতে রয়েছে বিপুল অর্থ ব্যয়ে আয়োজন করা পুরো বায়ো বাবল প্রক্রিয়াটি। এমন অসর্তকতায় এক মুহূর্তে শেষ হয়ে যেতে পারে সব কিছু। তাই আরো সতর্ক এখন সিসিডিএম।
বায়ো বাবল নিশ্চিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে বিসিবি। কিন্তু সেই পদক্ষেপ যেন বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোর মত না হয় সেই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
Leave a reply