চড় খেয়ে যা বললেন ম্যাকরন

|

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের চড় খাওয়ার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে দেশটিতে। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ম্যাকরন বলেছেন, গণতন্ত্রে ক্ষোভ প্রকাশের সুযোগ আছে, তবে নির্বুদ্ধিতার সাথে সহিংসতা যুক্ত হলে তাকে প্রশ্রয় দেয়া যায় না। আমি বরাবরই সাধারণ মানুষের কাছাকাছি আসাটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। অনেক সময়ই তারা ক্ষোভ-হতাশা প্রকাশ করেন।

তার চলমান জনসংযোগ কর্মসূচিতে এ ঘটনা কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান ম্যাকরন। মঙ্গলবার (৮ জুন) ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সব দলের আইনপ্রণেতারা ঘটনার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসেক্স বলেন, দেশের প্রধানের ওপর হামলার অর্থ হলো গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। গণতন্ত্রের অর্থ হলো বিক্ষোভ, বিতর্ক, আর আলোচনার মাধ্যমে মতামত আদান-প্রদান। মতভেদ থাকতে পারে। সেটা জানানোর বৈধ উপায়ও আছে। কোনোভাবেই মৌখিকভাবে হেনস্তা বা শারীরিক আঘাত গ্রহণযোগ্য নয়।

দেশটির একটি বামপন্থী দলের আইনপ্রণেতা আদ্রিয়েন কোয়াটেনেন্স মনে করেন, যে হামলার শিকার তিনি হয়েছেন তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে যে কোনো সমস্যা আলোচনা আর ব্যালটের মাধ্যমে সমাধান করতে হয়। সহিংসতার মাধ্যমে নয়।

দেশটির সাধারণ মানুষও প্রতিবাদ করছেন ওই ঘটনার। একজনকে বলতে শোনা গেছে, প্রেসিডেন্ট ম্যাকরনের কর্মকাণ্ডে দ্বিমত পোষণ করতে পারি। ভোটে তার প্রতিফলনও দেখাতে পারি। তবে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

ড্রোম প্রদেশের ছোট শহরটির রেঁস্তোরা ব্যবসায়ী ও স্কুল পরিদর্শনের পর অপেক্ষমান সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময়ে এগিয়ে যান প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন। হঠাৎই ঘটে অপ্রীতিকর ওই ঘটনা। দেহরক্ষীরা দ্রুত সামলে নিলেও এ ঘটনার ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে অনলাইনে।

ঘটনার পর থেকে এখনও আটককৃত হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি ফরাসি পুলিশ। এমনকি জানা যায়নি প্রেসিডেন্টকে চড় মারার কারণও।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply