বাংলাদেশে মৃত্যুর পরিমাণ কম হওয়ায় ভ্যাকসিন দিতে অনাগ্রহ আছে যুক্তরাষ্ট্রের। তবে ভ্যাকসিন আনতে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। যুক্তরাষ্ট্র সফরে ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করা হবে জানান তিনি। বলেন, এরইমধ্যে ১ হাজার ৬৫৪ জন বাংলাদেশি-আমেরিকান হোয়াইট হাউজে একটি পিটিশন করেছে, বাংলাদেশের সমস্যার বিষয়ে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) অনুদান হিসেবে প্যালেস্টাইনকে মেডিক্যাল সামগ্রী দেওয়ার একটি অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোকে সবসময়ই সাহায্য সহযোগিতা করে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য এই সহযোগিতা ভিন্নরকম। সরকারি-বেসরকারিভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। যতদিন ফিলিস্তিন স্বাধীন না হবে ততদিন বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পাশে থাকবে।
আগামী ১৩ তারিখ চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ৬ লাখ টিকা পাঠাবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চায়নার সাথে ভ্যাকসিন চুক্তি নিয়ে এখনো আশাবাদী বাংলাদেশ।
তবে মন্ত্রীর কথায় কিছুটা হতাশার সুরও দেখা গেছে। টিকা নিয়ে অস্পষ্টতা বিষয়ে তিনি বলেন, যাদের কাছে টিকা আছে, তারা সবাই বলে দেবে। কিন্তু কখন দেবে, সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলে না। প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকে বলে আসছেন, ‘টিকা যেন সর্বজনীন পণ্য হয় এবং সব দেশের লোকের বৈষম্যহীনভাবে পাওয়া উচিত।’ এ বিষয়ে আমরা জোরালো বক্তব্য দিয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মোট টিকার ৯৯.৭ শতাংশ আছে ধনী দেশের কাছে। মাত্র ০.৩ শতাংশ গরিব দেশগুলোর কাছে। এজন্য হাহাকার এবং কেউ পাচ্ছে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে একটি রিপোর্ট আছে— অস্ট্রেলিয়ার মোট লোক সংখ্যা হচ্ছে ২৫ মিলিয়ন। তারা টিকা সংগ্রহ করেছে ৯৩.৮ মিলিয়ন। আমরা তাদের কাছে চেয়েছি। তাদেরকে টিকা দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা বলেছে দেবে। সবাই বলে দেবে, কিন্তু হাতে আসছে না।
Leave a reply