চীনের মান্দারিন ভাষাকে জাতীয় ভাষার মর্যাদা দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এ জন্য একটি প্রস্তাবও পাশ করা হয়েছে দেশটির আইন সভার উচ্চকক্ষ সিনেটে।
সিদ্ধান্তটি এমন এক সময় নেওয়া হলো যার তিন আগেই পাকিস্তানকে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না।
সমালোচকরা একে যুক্তরাষ্ট্রকে ছেড়ে আরও বেশি চিনা বলয়ে প্রবেশের একটি উদ্যোগ হিসেবে দেখছে। একই রকম বার্তা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
তবে পাকিস্তান এ ধরনের কোনো বিষয় মানতে নারাজ। দেশটির দাবি, শুধুমাত্র চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) জড়িতদের কাজকর্মে গতিশীলতা আনতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও আরও জোরদার হবে বলেও মনে করছে পাকিস্তান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানি বলেন, স্বাধীনতার পর ৭০ বছরের মধ্যেই ৪টি বিদেশি ভাষাকে তুলে ধরতে চেয়েছে পাকিস্তান। ওই ভাষাগুলো হলো উর্দু, ইংরেজি, আরবি ও বর্তমানে চিনা। কিন্তু এর কোনটিই পাকিস্তানিদের মাতৃভাষা নয়। অথচ স্থানীয় ভাষাগুলোর সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে বিদ্যমান মাতৃভাষাগুলোর একটিকেও এ অবধি সরকারি ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়নি। এ ধরনের ভাষাগুলো মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সিন্ধি, পঞ্জাবি, পশতু ও অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা।
পাকিস্তানি গণ মাধ্যম একে পাকিস্তান ও চিনে উভয় দেশেই কাজের সুযোগ পাওয়ার একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে।
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply