সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে ধরা হয়। সকালের ভালো নাস্তা সারাদিনের ভালো কাজের জন্য মনকে প্রফুল্ল রাখে। সারাদিনের কাজের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে তোলে। তাই সকালের খাবারের প্রতি আমদের মনোযোগ দেয়া উচিত। সকালের নাস্তার গুরুত্ব এড়িয়ে গেলে শরীরের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে।
* সকালে জুস নয়: সকালে উঠে ব্লেন্ডারে ফলের জুস তৈরি করতে যাচ্ছেন? গবেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে জুসের পরিবর্তে ফল খান এবং সঙ্গে এক গ্লাস পানি। জুস তৈরি করলে ফলের ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার নষ্ট হয়ে যায়।
* সকালে পরিমাণমতো নাস্তা খান: সকালে একেবারে কম খেয়ে সারাদিন যা খুশি তাই খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। অনেকে ধারণা করেন দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার পর যা খুশি তাই খেলে ওজন বাড়ে না। কিন্তু গবেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে সকালের পরিমাণ মতো নাস্তা খাওয়ার।
* সকালের এক কাপ চা: সকালে এক কাপ চা বা কফি পান করলে আপনার মেজাজ ভালো থাকবে। কিন্তু সকালে উঠে একাধিক কাপ চা কফি পানের অভ্যাস তৈরি হলে ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে।
* সকালে ফাস্টফুড নয়: চকলেট, প্যানকেক, বার্গার, স্যান্ডউইচের মতো উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার সকালের নাস্তায় এড়িয়ে চলুন।
* সকালে ফল খেতে পারেন: উচ্চ ক্যালরির খাবারের পরিবর্তে শসা, ফল, বাদাম প্রভৃতি খেতে পারেন।
* সকালের নাস্তা গুরুত্বহীন ভাবা ঠিক নয়: অনেকেই সকালের নাস্তাকে গুরুত্ব দেন না যা আসলে ঠিক নয়। রাতে খাবার ঠিকমতো খেলেও সকালের নাস্তা গুরুত্বপূর্ণ। সকালের কাজে বের হওয়ার তাড়া থাকলেও সকালের নাস্তা সেরে বের হওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
* সকালের নাস্তায় ডিম ভাজা: সকালবেলা চিনিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার চেয়ে ডিমভাজি খাওয়া ভালো। ভাজা ডিমে ট্রাইপটোফ্যান নামের এক ধরনের বিশেষ যৌগের উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন গবেষকেরা যা মস্তিষ্কে ভালো অনুভূতির জন্ম দেয়। কলা ও বাদামেও এই যৌগটি রয়েছে। তাই সকালের নাস্তায় এই উপাদানগুলোযুক্ত হলে সারাদিন ভালো কাটতে পারে।
এনএনআর/
Leave a reply